করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদকে নিয়ে রাতের গভীরে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ডিবি তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মদ, ফেন্সিডিল ও পিস্তল উদ্ধার হওয়ায় দুইটি মামলা হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্র জানায়, রাতে ডিবি সদস্যরা সাহেদকে নিয়ে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপদ রোডের ৬২ নম্বর বাসার সামনে অভিযান চালায়। সেখানে সাহেদের নিজস্ব সাদা প্রাইভেটকার ছিল। সেই প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ডিবির সদস্যরা ৫ বোতল বিদেশি মদ, ১০ বোতল ফেন্সিডিল ও একটি পিস্তল উদ্ধার করে। একটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। এরপরই অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এই থানায় এ পর্যন্ত সাহেদের বিরুদ্ধে ৫টি প্রতারণাসহ মোট ৭টি মামলা হলো।
গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এর আগে গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে রোগীদের সরিয়ে রিজেন্টের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। এরপর থেকে পালাতক ছিলেন সাহেদ।
গোয়েন্দা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে করোনার টেস্ট না করে রিপোর্ট দেয়ার প্রতারণার বিষয়টি সাহেদ স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আব্দুল বাতেন। গত ১৬ জুলাই দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক অনানুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ দাবি করেন।
গত ১৬ জুলাই সাহেদ এবং রিজেন্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। আর সাহেদের প্রধান সহযোগী তরিকুল ইসলাম ওরফে তারেক শিবলীর দ্বিতীয় দফায় সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।