কোনো এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করতে হলে এর প্রভাব কী হতে পারে সে বিষয়ে সুদূরপ্রসারী স্টাডি করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্টাডি করে সাবধানে কাজে হাত দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা যখন চর নিয়ে কথা বলছিলাম, বাঁধের বিষয়ে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বললেন, সাবধান। এই চরের মধ্যে উপকূলে আপনারা যে বাঁধ দেন, ক্রস ডেম যে সংযোগ করেন, এটার কিন্তু ভয়ানক প্রভাব আছে। আপনি হয়তো হাতিয়া দ্বীপ বাঁচালেন, ওইদিকে পানি বেড়ে গিয়ে ভোলাকে ভাঙবে। সুতরাং এ নিয়ে সুদূরপ্রসারী স্টাডি করা প্রয়োজন আমাদের। এগুলো স্টাডি করে আমাদেরকে সাবধানে হাত দিতে হবে। সি ইজ ভেরি রাইট হেয়ার (এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ঠিক আছেন), আমার মনে হয়। প্রকৃতির সঙ্গে খেলা করার আগে আমাদেরকে খুব সাবধানে খেলতে হবে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আজকে মোট ছয়টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তার মধ্যে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি ও সমন্বয়হীতার কারণে খুবই বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, দেরি হচ্ছে, অহেতুক দেরি হচ্ছে। সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করেছেন তিনি। তিনি লক্ষ্য করেছেন যে, একটা কাজ যখন শুরু করি, তখন অন্যান্য আইডিয়া চলে আসে, এটা করেন ওটা করেন। এতে প্রকল্পের ক্ষতি হয়। এই প্রবণতাকে আটকাতে হবে। আমাদের প্রতি নির্দেশনা আছে, আমরা যারা সরকারের কাজ করি, বিশেষ করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, আমরা দেখবো আরও বেশি করে। আইএমইডি দেখবে এটা, মাঠে গিয়ে দেখে আসবে।
একনেকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (খুউক) বাস্তবায়নাধীন ‘খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্পটি ২০১৩ সালের জুলাইয়ে শুরু হয়েছে। সাত বছরে পেরিয়ে গেলেও এর কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আজকে আরও দুই বছর সময় বাড়ানো হলো। বিষয়টি নিয়ে খুবই বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
‘লাঙ্গলবন্দ-কাইকারটেক-নবীগঞ্জ জেলা মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ হতে মিনারবাড়ী পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ (জেড-১০৬১) (ভূমি অধিগ্রহণ) (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পও একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পটিরও দেরি ও সমন্বয়হীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ/সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।