মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজে জড়িত ৭৬ কর্মীকে ভুয়া করোনা রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে সাহেদ করিমসহ রিজেন্ট হাসপাতালের ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতরাতে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় এই মামলাটি হয়। প্রতারণাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে মামলাটি করেন মেট্রোরেল প্রকল্পের শ্রমিক সাপ্লাইয়ের একটি কোম্পানি।
আজ মঙ্গলবার বিকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা।
ওসি বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্পের শ্রমিক সাপ্লাইয়ের দায়িত্বে থাকা ‘এসিট করপোরেশনের’ প্রশাসনিক কর্মকর্তা গতকাল রাতে মামলাটি করেন। সেই মামলায় রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদ করিম, এমডি মাসুদ পারভেজ, মিজানুর রহমানসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
অভিযোগ বলা হয়েছে, মেট্রোরেলে কর্মরত ৭৬ কর্মীর করোনার পরীক্ষা করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালে। এজন্য সাড়ে তিন হাজার করে টাকা নেয়া হয়েছিল। কিন্তু টেস্ট না করেই ভুয়া ফলাফল দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের ভুয়া রিপোর্টের কারণে কর্মীদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। এভাবে তারা রিজেন্ট হাসপাতালের মাধ্যমে তারা প্রতারিত হয়েছেন। তাদের ভুয়া টেস্ট ও ফলের বিরুদ্ধেই মূলত মামলাটি করা হয়।
গত ৬ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। করোনার এই দুর্যোগকালে নমুনা সংগ্রহ করা হলেও টেস্ট না করে ফলাফল দেয়া, হাসপাতাল পরিচালনার সনদের মেয়াদ না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। পরদিন হাসপাতালটির উত্তরা ও মিরপুরের দুটি শাখা সিলগালা এবং সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে র্যাব। মামলার পর সাহেদ ঢাকা থেকে পালিয়ে যান। দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে সবশেষ সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করেন। গত বুধবার ভোরে ভারতে পালানোর প্রস্তুতির সময় সাহেদকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে উত্তরায় তার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা জব্দ করা হয়।
এই ঘটনায় সাহেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানা ও সাতক্ষীরায় পৃথক মামলা হয়। সেই মামলায় সাহেদ ও মাসুদ পারভেজ ডিবি হেফাজতে ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
এদিকে আজ সাহেদের মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র্যাবকে।