কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বিজিবির সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন, যারা ইয়াবা চোরাকারবারি বলে দাবি করছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীটি।
শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার হ্নীলার ছুড়িখাল এমজি চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের এইচ ব্লকের মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে আবদুস সালাম এবং একই ক্যাম্পের হাবিব উল্লাহর ছেলে ফেরদৌস।
টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ছুড়িখাল চেকপোস্ট সংলগ্ন নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান টেকনাফে আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লেদা বিওপির একটি বিশেষ টহলদল ওই এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় টহলদলের সদস্যরা তিনজনকে সাঁতার কেটে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে। ওই ব্যক্তিরা নদীর তীরে ওঠার সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা পাচারকারীরা অতর্কিতভাবে গুলি ছুড়লে বিজিবির তিন সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবির সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে একপর্যায়ে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যান।
গোলাগুলি থেমে গেলে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে আহত বিজিবি সদস্যসহ ও গুলিবিদ্ধ দুই ব্যক্তিকে দ্রুত টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিজিবি সদস্যদের চিকিৎসা দেয়। এছাড়া গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এছাড়া বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে দুই লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।