ব্রডের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে এগিয়ে ইংল্যান্ড

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এগিয়ে ইংল্যান্ড
ছবি : ইন্টারনেট

জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম ভেঙে দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন জোফ্রা আর্চার। তাঁর ভুলের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যও শুনতে হয়। মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে, তৃতীয় টেস্টে খেলবেন কি-না তা নিয়ে ছিল সংশয়। ফিরলেও আগের সেই বিধ্বংসী রূপে তাঁকে দেখা যাবে কি না ছিল প্রশ্ন। আর্চার ফিরলেন স্বমহিমায়।

তরুণ পেসারের বাউন্সারে বিদ্ধ হয়ে উইকেট ছুঁড়ে দেন ওপেনার জন ক্যাম্পবেল। ৯০ মাইল প্রতি ঘণ্টার গতিতে আর্চারের খাটো লেংথের বল ধেয়ে আসছিল ক্যাম্পবেলের পাঁজরে। একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না ক্যারিবিয়ান ওপেনার। কোনোরকমে বল সামলাতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনেন। তাঁর ব্যাটের উপরে লেগে বল চলে যায় গালি অঞ্চলে জো বার্নসের হাতে। অবসাদের চাপা যন্ত্রণাকে ভেদ করে হাসি ফেরে আর্চারের মুখে।

শনিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের নায়ক অবশ্যই স্টুয়ার্ট ব্রড। দুরন্ত বোলিংয়ের সঙ্গে ৪৫ বলে ৬২ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দেন তিনি। ৯টি চার ও একটি ছয়ের সৌজন্যে বিধ্বংসী ইনিংস গড়েন ব্রড। ৩৬৯ রানের লড়াকু স্কোরের বিরুদ্ধে নেমে দিনের শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১৩৭। খারাপ আলোর জন্য ফের নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। দুই উইকেট স্টুয়ার্ট ব্রডের। দ্বিতীয় দিন শেষে ২৩২ রান পিছিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

মেঘলা আবহাওয়ায় সুইং পেতে শুরু করেছেন জেমস অ্যান্ডারসনও। তাঁর বলে ক্যাম্পবেলের সহজ ক্যাচ স্লিপে ফস্কান বেন স্টোকস। তবুও অ্যান্ডারসনের উইকেট ভাগ্যে কোনও পার্থক্য গড়তে পারেনি। শেই হোপ ও শারমা ব্রুকসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তাঁর ঝুলিতে। একটি করে উইকেট আর্চার ও ক্রিস ওকসের।

এই ওল্ড ট্র্যাফোর্ডেই ২০১৪ সালে বরুণ অ্যারনের বাউন্সার আছড়ে পড়ে ব্রডের নাকে। মুহূর্তের মধ্যে রক্তক্ষয় শুরু হয়। ভারতীয় পেসারের বাউন্সারে আঘাত পাওয়ার পরে ব্যাটিংয়ে আতঙ্ক তৈরি হয় ব্রডের। এতটাই প্রভাবিত হন ব্রড, যে রাতে দুঃস্বপ্ন গ্রাস করতে শুরু করে তাঁকে। ২০১৪ সালের আগে তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ২৩.৯৫। সেই ঘটনার পর থেকে ব্রডের গড় ১৩.৫৯। পাকিস্তানেরর বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করা পেসার একেবারেই ব্যাটিংয়ে মন দিতে পারছিলেন না। শনিবার ব্যাটিংয়ে ছন্দ ফেরে ব্রডের।

দ্বিতীয় দিনেই নতুন রেকর্ডের মালিক হলেন ক্যারিবিয়ান পেসার কেমার রোচ। শেষ ২৬ বছরে প্রথম ক্যারিবিয়ান পেসার হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেটের মাইলফলক পেরোলেন তিনি। ১৯৯৪ সালে শেষ ক্যারিবিয়ান পেসার হিসেবে টেস্টে ২০০ উইকেটের মালিক ছিলেন কার্টলি অ্যাম্ব্রোজ। সেই তালিকায় এবার প্রবেশ করলেন রোচ। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নেন তিনি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে