আরো ভয়ংকর হতে পারে বন্যা

মত ও পথ প্রতিবেদক

বন্যা
ফাইল ছবি

বন্যা নিয়ে ফের এসেছে দুঃসংবাদ। দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আবার ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস এবং বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

কেবল দেশেই নয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশেও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ভারি বর্ষণ শুরু হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল থেকে আবার বাড়বে। ফলে শিগগিরই উত্তরের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির সম্ভাবনা নেই। এর আগে গত রবিবার থেকে সারা দেশে টানা ভারি বর্ষণে বন্যার অবস্থার অবনতি হয়।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, গঙ্গা নদীর পানি সমতল থেকে বাড়ছে। এটি আজ মঙ্গলবার আরো বাড়বে। ঢাকার আশপাশের নদ-নদীর পানিও বাড়ছে। এসব নদ-নদীর পানি আজও বাড়বে। ফলে ঢাকার চারপাশে মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুরে শিগগিরই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, তাদের পর্যবেক্ষণে থাকা ১০১টি পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৪টির পানি কমেছে, বেড়েছে ৩৭টির। এখনো বিপত্সীমার ওপরে স্টেশনের সংখ্যা ৩০ এবং নদীর সংখ্যা ২০।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বন্যা আক্রান্ত জেলার সংখ্যা ৩১। আর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ৪৭ লাখ। যদিও বন্যায় মৃত্যুর হার নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, ২৭ জুন থেকে শুরু হওয়া বন্যায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪১। যদিও বেসরকারিভাবে এই মৃত্যুর সংখ্যা বলা হচ্ছে ১২০-এর ওপরে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। ফলে গতকাল সোমবার দেশের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবারও দেশের ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কয়েকটি জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ২৭ জুন থেকে প্রথম দফায় দেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-মধ্যাঞ্চলে বন্যা শুরু হয়। ১১ জুলাই থেকে দ্বিতীয় দফায় বন্যা শুরু হয়, যেটি এখনো অব্যাহত আছে। তবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে বন্যার পানি কমতে থাকবে। দ্বিতীয় সপ্তাহে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি সমতল থেকে আরো বাড়ছে। এখন বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে