দেশে বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা। প্রতিদিনই প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন অনেক মানুষ। আক্রান্তের সারিও দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও ২৮ জনের নাম। এছাড়া আক্রান্তের তালিকাতে নাম উঠেছে আরও ২৭৭২ জনের।
শুক্রবার দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১১১ জনে। এছাড়া নতুন করে আরও ২৭৭২ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যাওয়ায় এই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়ালো দুই লাখ ৩৭ হাজার ৬৬১ জনে।
বুলেটিনে বরাবরের মতো করোনা থেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ডা. নাসিমা। এছাড়া জিংক-ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্যগ্রহণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, করোনা আক্রান্ত মায়ের দুধপানে শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পায়নি। অর্থাৎ, শিশুকে দুধপান করানো যাবে। তবে, এই সময়ে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার প্রতি বিশেষ আহ্বান জানানো হয়।
চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাসটি বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।
ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি। ৭ম দফায় বাড়ানো ছুটি চলে ৩০ মে পর্যন্ত। ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি নেই। এখন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ভিত্তিক লকডাউন চলছে। তাই অফিস আদালতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় সরঞ্জামাদি রাখা ও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।