ঈদুল আজহার দিন পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের সীমান্তে সংঘর্ষে অন্তত ২২ জন নিহত হয়েছে। পাকিস্তানের সীমান্ত শহর চমনের একটি বর্ডার ক্রসিংয়ে এ ঘটনায় দুই দেশই পরস্পরকে দোষারোপ করছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
আফগানিস্তানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে রয়টার্স বলেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে লোকজন সীমান্ত পারাপারের জন্য ওই ক্রসিংয়ে ভিড় করেছিল। তাদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর ছোড়া গোলায় ১৫ আফগান নিহত হয়।
অন্যদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে দেশটির গণমাধ্যমে জানিয়েছে, ভিড় করা জনতার ওপর আফগান বাহিনী গুলি ছুড়েছে। পাকিস্তানি সেনারা কেবল লোকজনের সুরক্ষা এবং আত্মরক্ষায় গুলি চালিয়েছে। আর এতে ৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩১ জন।
আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের গভর্নর হায়াতুল্লাহ হায়াত রয়টার্সকে জানান, সংঘর্ষের সময় আফগান সীমান্ত শহর স্পিন বোলডাক এলাকায় বাড়িঘরের ওপর গোলা পড়ে নারী ও শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়। এছাড়া কমপক্ষে ৮০ জন আহত হয়েছেন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ওই সীমান্ত ক্রসিংটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে বুধবার সেটি কিছু সময়ের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার আবারও ক্রসিং খোলার কথা থাকলেও সেটি না খোলায় লোকজন বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষুব্ধ লোকজন সেখানকার একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং সরকারি স্থাপনায় আগুন দেয়। এরপরই এই সীমান্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো।