ইংল্যান্ড গিয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে বড় ধরনের হুমকি পেলেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরা। এমনিতে করোনার কারণে তটস্থ থাকতে হয় সব সময়। তারওপর নতুন হুমকিতে যারপরনাই চিন্তিত হয়ে পড়তে হচ্ছে বাবর আজম, আজহার আলিদের।
ইংল্যান্ডে পৌঁছে করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে জৈব সুরক্ষা বলয়ে রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল; কিন্তু একেবারেই নিরাপদে নেই ক্রিকেটাররা। কেন? কারণ, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করার ফল হাড়ে হাড়ে টের পেতে হচ্ছে বাবর আজমদের! পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ব্রিটেনের একটি কোম্পানি।
একটি ইংরাজি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ব্রডশিট এলএলসি নামের একটি কোম্পানি ৩৩ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ পায় পাকিস্তান সরকার এবং ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) কাছে; কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেই অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।
এই মর্মে ব্রিটেনের সেই কোম্পানিটি পাকিস্তান কাউন্সেল ‘অ্যালেন অ্যান্ড ওভারি’কে একটি চিঠি দিয়েছে; কিন্তু জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে এ প্রসঙ্গে ইংলিশ কোম্পানিটিকে কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দেয়নি তারা।
এরপর পাকিস্তান ও এনএবি’র বিরুদ্ধে মামলা করে জয়ী হয় কোম্পানিটি এবং পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। তখনকার মতো সেই কোম্পানি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ঠিকই। তবে এবার ইংল্যান্ড সফরে আসা পাকিস্তান ক্রিকেট দেলের ড্রেসিংরুমে ‘স্ট্রাইক’ চালাতে পারে কোম্পানিটি। অন্তত এটাই এখনকার খবর।
রীতিমতো হুমকির সুরেই ব্রডশিট এলএলসি জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান দল এখন ব্রিটেনে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বকেয়া না মেটানোর দায়ে দলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। শুধু তাই নয়, লন্ডনে পাক দূতাবাস বিল্ডিং এবং হাই কমিশনারের বাড়িও বাজেয়াপ্ত করার কথা ভাবা হচ্ছে। নিউইয়র্কে রুজভেল্ট হোটেলটিও রয়েছে কোম্পানির নিশানায়।
২০০০ সালে নওয়াজ শরিফের পরিবারসহ পাকিস্তানের বেশ কিছু সরকারি কর্মকর্তার দুর্নীতির তদন্ত করতে ভাড়া করা হয়েছিল ব্রডশিট এলএলসিকে। সেই সময়ে কাজের বিনিময়ে অর্থ পায়নি কোম্পানিটি। ২০ বছর পর সেই ঘটনার জন্য এবার চাপের মুখে বাবর আজমরা।