জুলাইয়ে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো দেশে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রেমিট্যান্স
ফাইল ছবি

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও শুধু জুলাই মাসে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা । বিশ্বজুড়ে ইতিহাসে একক মাসে এর আগে কখনো এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি। এটাকে বিরল রেকর্ড হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদেরা। এর আগে গত জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১ দশমিক ৮৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেটাও রেকর্ড গড়েছিল।

প্রবাসী আয়ের এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। আর গত জুন মাসের চেয়ে বেশি এসেছে ৪২ শতাংশ।

এর আগে এক মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল গত জুন মাসে ১৮৩ কোটি ২৬ লাখ ডলার। আর গত বছরের জুলাইয়ে এসেছিল ১৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।

সদ্যসমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ (১৮.২০ বিলিয়ন) ডলার।

এদিকে প্রবাসী আয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাসে এযাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭ দশমিক ২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত ৩০ জুন ২০২০ তারিখে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬ দশমিক ০১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে যেটি ছিল সর্বোচ্চ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সেটি পৌঁছেছে ৩৭ দশমিক ২৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ডে। রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিট্যান্সের আন্তঃপ্রবাহ।

করোনার মধ্যে প্রতিকূল পরিবেশে থেকেও নিয়মিত রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। কঠিন সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে। এক্ষেত্রে দেশ ও পরিবারের প্রতি তাদের ভালোবাসা এবং দায়বদ্ধতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। অর্থনীতির চাকাকে বেগবান রাখতে বড় অবদান রাখছে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেমিট্যান্সে দেশের এ অনন্য রেকর্ডে প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গত অর্থবছরের শুরু থেকে প্রবাসীদের প্রেরিত আয়ের ওপর ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত আছে যার ফলে গতবছর ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। চলতি অর্থবছরে ৩-৫ বিলিয়ন ডলার বাড়তি অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। সামনের দিনে রেমিট্যান্স বৈধ পথে আনতে যত কৌশল অবলম্বন করতে হয় সেটা আমরা নেব।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের রয়েছে দেশের প্রতি অকৃতিম ভালোবাসা আর মমত্ববোধ। তাদের টাকা প্রেরণে যত বাধা রয়েছে সেগুলো দূর করা হবে।

প্রসঙ্গত, চিকিৎসার ফলোআপের পরে লন্ডন থেকে আজ সকালে অর্থমন্ত্রী ঢাকায় ফিরে নিয়মিত দাপ্তরিক কাজকর্ম শুরু করেছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে