যক্ষার টিকা করোনার গতি শ্লথ করেছে বহু দেশে, গবেষণায় এমনটাই জানালেন একদল মার্কিন বিজ্ঞানী। ব্যাসিলাস ক্যালমেট–গুয়েরিন (বিসিজি) টিকা মূলত যক্ষ্মা (টিবি) রোগে ব্যবহার করা হয়। বহু দেশেই এই টিকা বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ জন্মের পরই শিশুকে এই টিকা দেয়া হয়।
আমেরিকার ওই বিজ্ঞানীদের দাবি, অনেক দেশেই সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার অনেকটাই কমিয়ে এনেছে এই বিসিজি টিকা। টিকাকরণের প্রথম ৩০ দিন বিসিজি খুব ভালো কাজ করে। শুধু যক্ষায় নয়, আরও বেশ কয়েকটি রোগে জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম এই বিসিজি।
আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য অ্যাডভান্সমেন্ট অফ সায়েন্স–এর জার্নালে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর প্রথম ৩০ দিনে ১৩৫টি দেশের সংক্রমণের হার এবং ১৩৪টি দেশের মৃত্যুর হারের তুলনামূলক বিচার করে দেখা হয়েছে এই গবেষণায়।
ইন্ডিয়ান কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস–এর ডিন শশাঙ্ক যোশী বলেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিসিজি খুব ভালো কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, তিনি পর্তুগালের প্রসঙ্গ টেনে আনেন।
তিনি বলেন, স্পেনে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও পাশের দেশ পর্তুগালে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। তার একটা বড় কারণ, সে দেশে বিসিজি বাধ্যতামূলক। ভারত এবং চীনেও বিসিজি–কে সরকারি প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
মার্কিন বিজ্ঞানীদের দাবি, কয়েক দশক আগে আমেরিকাতেও বিসিজি যদি বাধ্যতামূলক করা যেত, তাহলে সেখানেও মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় এত বেশি হতো না!