ইউরোপ, এশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি থেকে ইতিবাচক বার্তা আসায় সোমবার জ্বালানি তেলে দাম ২ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি ও তেল রফতানিকারকদের সংগঠন ওপেক তেলের উৎপাদন কমানোর অবস্থান থেকে সরে আসতে শুরু করায় সরবরাহ বৃদ্ধি নিয়ে নিয়ে শঙ্কিত বিনোয়োগকারীরা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, সোমবার ব্রেন্ট ক্রুড ওয়েলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৬ সেন্ট অর্থাৎ শতাংশ বেড়ে ৪৪ দশমিক ৩৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমেডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড ৯২ সেন্ট অর্থাৎ ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে হয় ৪১ দশমিক ১৯ ডলার।
দ্য ইনস্টিটিউট অব সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, ফের করোনার ঢেউ সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন কার্যক্রম বিগত এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে জুলাইয়ে ছিল সর্বোচ্চ। এছাড়া ২০১৯ সালের পর গত জুলাইয়ে ইউরোজোনের উৎপাদন সম্প্রসারিত হয়েছে। এদিকে এশিয়ার উৎপাদন থেকেও আসছে ইতিবাচক খবর।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, উৎপাদনে গতি বৃদ্ধির এসব তথ্য আসতে শুরু করায় তেলের দামে বেড়েছে। নিউইয়র্কের অ্যাহেই ক্যাপিটাল এলএলসির অংশীদার জন কিল্ডাফ বলেন, ‘শিল্পখাত ফের গতি বাড়ার কারণে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে তেলের দামও বাড়ছে।
তবে বিশ্বজুড়ে দৈনিক করোনাভাইরাস সংক্রমণে একের পর এক রেকর্ড হওয়াতে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার নিয়ে শঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা। এখন পর্যন্ত জানা তথ্যমতে, এক কোটি ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত। মহামারি নিয়ন্ত্রণে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ কিংবা জারি থাকা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াচ্ছে।
পেট্রোলিয়াম রফতানিকারক দেশসমূহের সংগঠন ওপেক ও রাশিয়াসহ এর সহযোগী সংগঠনগুলো উৎপাদন কমানোর অবস্থান থেকে সরে আসা এবং আমেরিকার শেল উৎপাদন বাড়তে শুরু করায় তেলের সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে জ্বালানি তেল সহজলভ্য হওয়ার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
ওপেকপ্লাসভূক্ত দেশগুলো গত মে থেকে দৈনিক ৯৭ লাখ ব্যারেল তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেয়। কিন্তু চলতি মাস থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত তা ৭৭ লাখ ব্যারেল করার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া ১ ও ২ আগস্ট রাশিয়ার দৈনিক ৯৮ লাখ ব্যারেল তেল ও গ্যাস উৎপাদন হয়। অথচ জুলাইয়ে তা ছিল ৯৭ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল।