লেবাননের রাজধানী বৈরুতে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এতে দুজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫৯ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে দুই হাসপাতালে ভর্তি ১০ জন। বাকি ৪৯ জন চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) ও দূতালয় প্রধান আবদুল্লাহ আল মামুন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এরআগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়েছে ওই বিস্ফোরণে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২১ সদস্য আহত হয়েছেন।
যে দুজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে একজন নৌবাহিনীর সদস্য নন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে নিহত দুজনের একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ও অপরজন শরীয়তপুরের। আরও কয়েকজনের মৃতের খবর যাচাই-বাছাই করছে দূতাবাস। এই সংখ্যা বাড়তে পারে।
লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তা মত ও পথকে জানান, হামলায় এখন পর্যন্ত একজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি নৌবাহিনীর সদস্য নন। তিনি বাংলাদেশি শ্রমিক। কয়েকজন বাংলাদেশি প্রবাসীও আহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। দূতাবাস প্রবাসীদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে।
নৌবাহিনীর যে ২১ সদস্য আহত হয়েছেন তারা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস বিজয়ে অবস্থান করছিলেন। বিস্ফোরণে জাহাজটিও সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গেছে। জাতিসংঘের মেরিটাইম টাস্কফোর্সের অধীনে লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশি ক্যাস্টল ক্লাশ করভটে বিএনএস বিজয় দুশো গজের মধ্যে ছিল।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) সন্ধ্যায় জোড়া বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত এবং প্রায় চার হাজার মানুষ আহত হয়েছে।
একইসঙ্গে এত আহত মানুষের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে বৈরুতের হাসপাতালগুলো। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পার্শ্ববর্তী এলাকায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে এসব আহত মানুষকে সেবা করার আহ্বান জানিয়েছে। অনেক হাসপাতালে স্থান সংকুলান না হওয়ায় কোনো রোগী হতে পারছে না।