অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া চেকপোস্টের ইনচার্জ লিয়াকতসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করেছে র্যাব।
এর আগে, তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আসামিরা। এসময় জামিন আবেদন করা হলে, বিচারক তা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলায় ৯ আসামির মধ্যে দুইজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেননি।
এদিকে, গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রাম থেকে পুলিশ হেফাজতে কক্সবাজারে নেয়া হয় টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপকে। বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে কক্সবাজার পৌঁছে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন প্রদীপ কুমার দাশ।
বুধবার (৫ আগস্ট) সকালে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ ও বাহারছড়া চেকপোস্টের আইসি লিয়াকতসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন নিহতের বোন শারমিন শাহরিয়ার।
এই মামলায় বাহারছড়া চেকপোস্টের ইনচার্জ এস আই লিয়াকত হোসনকে ১ নম্বর ও প্রত্যাহারকৃত টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামি করে আরও ৭ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন: উপপরিদর্শক (এস আই) নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এ এস আই লিটন মিয়া, এস আই টুটুল, কনস্টেবল মো. মোস্তফা।
আদালতের নির্দেশে গতরাতে টেকনাফ থানায় নথিভুক্ত করা হয় মামলাটি। এর পরপরই এজাহারভুক্ত ৯ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র্যাবকে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। একে সরাসরি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন সিনহার স্বজনরা। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার পর বিশ্ব ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন মেজর সিনহা রাশেদ। ভ্রমণ বিষয়ক একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর কাজও চলছিলো তার। এরই অংশ হিসেবে সিনহা কক্সবাজারে ভিডিও তৈরির কাজে গিয়েছিলেন বলে জানায় তার পরিবার। পরে পুলিশ দাবি করে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি করা হয় রাশেদকে।