করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম। প্রতি ভরি স্বর্ণে চার হাজার ৪৩২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দর নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম হবে ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা।
৫ আগস্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। আজ বৃহস্পতিবার থেকে স্বর্ণের এ নতুন দর কার্যকর হবে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট, চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ইউএস ডলারের দরপতন হচ্ছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমাগতভাবে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশীয় বুলিয়ন মার্কেটেও স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে বাজুস ৬ আগস্ট থেকে দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রৌপ্যের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) থেকে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম চার হাজার ৪৩২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৭ হাজার ২১৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭৪ হাজার ৬৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬৫ হাজার ৩১৮ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি ৫৪ হাজার ৯৯৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুসের তথ্যমতে, গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম অস্থির হয়ে উঠেছিল। এতে ১৯ ফেব্রুয়ারি দেশে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ হাজার ৫২৮ টাকা। এটি ছিল ওই সময় দেশের বাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম। এর আগে দেশে স্বর্ণের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। সে সময় প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছিল ৬০ হাজার ৬৫৩ টাকা।
জানা গেছে, বৈশ্বিক এ মহামারির মধ্যে চারবার স্বর্ণের দাম বাড়াল বাজুস। তার আগে সবশেষ চলতি বছরের ২৩ জুলাই স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছিল বাজুস। যা ২৪ জুলাই থেকে কার্যকর হয়। এর আগে গত ২৩ জুন এবং তারও আগে ২৮ মে স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের এ সংগঠনটি।