শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামিলীগ কর্তৃক পহেলা আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার বৃহৎ পরিসরে উদযাপিত হয়েছে শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন।
বঙ্গবন্ধুর জৈষ্ঠপুত্র শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে যৌথভাবে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও জেলা ছাত্রলীগ।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কলের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত হন শহীদ শেখ কামালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, আজও কামাল ভাইয়ের কথা মনে হলে দু’চোখ পানিতে ভরে আসে। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। সত্তরের নির্বাচন, মুক্তিযুদ্ধের পরে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে ছাড়িয়ে এনে পুনরায় ছাত্ররীজনীতিতে সম্পৃক্তিকরণ, তেয়াত্তরের ডাকসু নির্বাচন ও ছাত্রলীগেকে পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে তাঁর সাথে একযোগ হয়ে কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। তাঁর কথা যতই মনে পড়ে, স্মৃতি ততই পীড়া দেয়। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের কালোরাত্রিতে সর্বশেষ তাঁর সাথে আমার কথা হয়েছিল টেলিফোনে মধ্যরাত্রিতে— পরদিন জাতির জনক বঙ্গঁবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান আসবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, সে বিষয়ে ছাত্রদের প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে। তারপরের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস আপনারা সবাই জানেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাসমাপ্তিতে বেরিয়ে আসার আগপর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম ছাত্রলীগের সংগঠনের সাথে। শহীদ শেখ কামালের কনিষ্ঠ সহকর্মী হিসাবে, ভাই হিসাবে, বন্ধু হিসাবে কখনো একদিনের জন্য তাঁর কথা ভুলতে পারিনি, ভুলিনি এবং ইনশাআল্লাহ ভুলব না।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরও বলেন, শেখ কামাল ছিলেন বাংলাদেশে আধুনিক ফুটবলের অন্যতম দিশারী, একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার, ক্রীড়া সংগঠক, নাট্যকর্মী, অভিনেতা ও প্রতিভাবান সেতারাবাদক। তাঁর শাহাদৎবরণ বাংলাদেশের ক্রীড়া, সংস্কৃতি তথা সামাজিক-রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় ক্ষতি হিসাবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান বাবুলসহ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।