ভারতে একটি করোনা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণহানির সংখ্যা বাড়তে পারে।
আগুন লাগার সময় হাসপাতালটিতে অন্তত ৪৫ জন কোভিড রোগী ভর্তি ছিলেন। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এনডিটিভি।
বৃহস্পতিবার ভোরে গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদ শহরের বেসরকারি শ্রেই হাসপাতালে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। হাসপাতালের একজন স্বাস্থ্যকর্মীর পিপিইতে আগুন ধরে যায়। সেখান থেকে আইসিইউ ওয়ার্ডে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আহমেদাবাদ ফায়ার অ্যান্ড ইমারজেন্সি সার্ভিসেসের অতিরিক্ত চিফ ফায়ার অফিসার রাজেশ ভাট বলেন, ওয়ার্ডে থাকা একজন স্টাফের পিপিইতে আগুন ধরে গেলে দ্রুতই তা পুরো ওয়ার্ডে ছড়িয়ে পড়ে।
আগুন লাগার পর ৪০ জন রোগীকে বের করে পাশের হাসপাতালে সরানো হয়। ৮ জনের বের হওয়ার সুযোগ ছিল না। তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ এবং তিনজন নারী করোনা রোগী। তারা সবাই আইসিইউতে ছিলেন।
আগুন লাগার পর হাসপাতালের বাইরে ভিড় জমান উদ্বিগ্ন রোগীর আত্মীয়রা। দমকলের কর্মীরা আগুন নেভানোর পাশাপাশি হাত লাগান রোগীদের উদ্ধারের কাজে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তিনি লিখেছেন- আহমেদাবাদের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুঃখিত। মৃতের পরিবারদের সমবেদনা জানাই। আহতরা দ্রুত সেরে উঠুন। পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপাণি ও মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সব রকম সাহায্যের ব্যবস্থা করছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও এই অগ্নিকাণ্ডের পর একটি টুইট করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দেয়া হয়। ওই টুইটে বলা হয়েছে, ‘আমেদাবাদের হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের কারণে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবার পরিজনকে পিএমএনআরএফ-এর তহবিল থেকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। হাসপাতালের ওই অগ্নিকাণ্ডে যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেককে ৫০,০০০ টাকা করে সাহায্য করা হবে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, শর্টসার্কিট থেকে ওই আগুন লেগেছে। ৮ জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।