প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিনিয়ত অচেনা ভাইরাসটি কেড়ে নিচ্ছে হাজারো প্রাণ। আক্রান্তের তালিকাতেও যোগ হচ্ছে লাখ লাখ মানুষের নাম। চীনের উহান থেকে শুরু হওয়া অদৃশ্য ভাইরাসটি ইতোমধ্যে বিশ্বের সাত লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৯২ লাখ ছাড়িয়েছে।
করোনা নিয়ে আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৯২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৭৭ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ১৭ হাজার ৬৪৪ জন। সুস্থ হয়েছেন এক কোটি ২৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৫ জন।
এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮০ হাজার ৪৪ জন। মারা গেছেন ৬৪৫৭ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন প্রায় দুই লাখ মানুষ।
চীনের উহানে করোনা সংক্রমণ সৃষ্টি হলেও এখন অদৃশ্য এই ভাইরাসটির বেশি প্রকোপ আমেরিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায়। ইউরোপের কিছু দেশেও ফের ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়েছে। নতুন করে আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে চীন-জাপানেও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে, অনেকে দেশে করোনার সংক্রমণের মাত্রা মারাত্মক ঊর্ধ্বমুখী। তাই করোনা প্রতিরোধের পদক্ষেপ দ্বিগুণ করতে হবে।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫০ লাখ ৩২ হাজার ১৭৯ জন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬২ হাজার ১০৪ জনের। করোনায় মোট মৃতের দিক থেকেও প্রথমে রয়েছে দেশটি। দেশটিতে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৮ জন।
করোনায় আক্রান্তের থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৫৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ হাজার ৬৪৪ জনের। আর এ পর্যন্ত ব্রাজিলে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬০ জন।
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়াকে টপকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসা ভারতে মোট ২০ লাখ ২৫ হাজার ৪০৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৪১ হাজার ৬৩৮ জনের এবং সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৩৮৪ জন।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৭১ হাজার ৮৯৪ জন। আর করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৬০৬ জনের।
পঞ্চম স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকায় মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৩৮ হাজার ১৮৪ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ হাজার ৬০৪ জন।