করোনায় দেশে আরও ৩২ মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২৬১১

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। ফাইল ছবি

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে নতুন ২ হাজার ৬১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জনে। এছাড়া, গত একদিনে করোনায় মারা গেছেন আরও ৩২ জন। এ নিয়ে মোট ৩ হাজার ৩৬৫ জন প্রাণ হারালেন। আর এ সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২০ জন।

আজ শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

universel cardiac hospital

তিনি জানান, ৮৪টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ৫২৯টি। আগের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ৭৩৭টি। এতে ২ হাজার ৬১১ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জনে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরই এখন বাংলাদেশ। উৎসস্থল চীনকে ছাড়িয়েছে এ তিনটি দেশই। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ফ্রান্স ও কানাডাকে পেছনে ফেলে ১৫তম। ইতোমধ্যে সংক্রমণে ইতালিকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। আর এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তুরস্ককে পেছনে ফেলে ৫ম। এর আগে রয়েছে ভারত, ইরান, পাকিস্তান ও সৌদি আরব। দেশে ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬০ জনের করোনা পরীক্ষা করে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫৫ হাজার ১১৩ জন। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২২.২৪।

দেশে করোনায় সংক্রমিত মানুষের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ২০ জন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬০৪ জন মানুষ সুস্থ হলেন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭.৪৭ শতাংশ।

নাসিমা জানান, এ সময়ের মধ্যে ৩২ জন মারা গেছেন। এর আগে ৩০ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। এ নিয়ে মোট ৩ হাজার ৩৬৫ জন মানুষ করোনায় প্রাণ হারালেন। ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২৫ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী। এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৫৫ জন পুরুষ ও ৭১০ জন নারী করোনায় মারা গেছেন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জিংক-ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।

করোনা মোকাবিলায় তরল খাবার, কুসুম গরম পানি ও আদা চা পান করতে হবে। সম্ভব হলে মৌসুমী ফল খাওয়া ও ফুসফুসের ব্যায়াম করা। এ সময় ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। কারণ, এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের করোনা আক্রান্ত মায়ের দুধপানে শিশুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কোনো তথ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পায়নি। অর্থাৎ, শিশুকে দুধপান করানো যাবে। তবে, এই সময়ে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখার প্রতি বিশেষ আহ্বান জানানো হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে