পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের পর গ্রেফতার হন তার সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাত। এরপর এ ঘটনায় পুলিশের করা তিনটি মামলার দু’টিতে আসামি করা হয় সিফাতকে। সোমবার সবগুলো মামলাতেই সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এছাড়া দুটি মামলারই তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে র্যাবের কাছে তদন্তভার হস্তান্তর করা হয়েছে। সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম মোস্তফা এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট মো. মোস্তফা জানান, সিফাতের নামে টেকনাফ থানায় মাদক ও হত্যা মামলা দায়ের করে পুলিশ। সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে টেকনাফ উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারহার আদালত-৩ এ দুটি মামলায় জামিন পান সিফাত। এ সময় বিচারক দুটি মামলারই তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করে র্যাবকে এর তদন্তভার দেন।
এর আগে রোববার মেজর সিনহার আরেক সঙ্গী মাদক মামলায় গ্রেফতার শিপ্রা দেবনাথকে জামিন দেন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রামুর বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালত।
সিনহা নিহতের ঘটনায় রামু থানায় করা মাদক মামলায় শিপ্রাকে আর টেকনাফ থানায় মাদক ও হত্যা মামলায় সিফাতকে আসামি করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ৩১ জুলাই রাত ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ সময় গ্রেফতার করা হয় মেজর সিনহার সঙ্গে থাকা শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে। তারা দু’জনই স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।