করোনার কারণে প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর সুপ্রিমকোর্ট খুলছে আজ বুধবার। তবে পুরোপুরি শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হবে না। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ৩৫টি এবং শারীরিক উপস্থিতিতে ১৮টি হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে।
আজ (১২ আগস্ট) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব বেঞ্চে দুই পদ্ধতিতে বিচারকাজ চলবে বলে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ জানিয়েছে।
ভার্চুয়াল আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন ২০২০ এবং অত্র কোর্টের জারি করা প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চগুলো গঠন করেছেন। এতে দ্বৈত এবং একক ৩৫টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চগুলো গঠন করেছেন। এতে দ্বৈত এবং একক ১৮টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে।
হাইকোর্টে আবেদন দাখিলে ৫ দফা নির্দেশনা
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মামলা ও দরখাস্ত ফাইলিং এবং নকল সরবরাহের ক্ষেত্রে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। নির্দেশনাগুলো হলো-
১. করোনা পরিস্থিতির পূর্বের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে সব মামলা ও দরখাস্ত ফাইলিং করা যাবে।
২. ভার্চুয়াল কোর্টে মামলা ও দরখাস্ত শুনানির ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল শুনানির লিংক পাঠানোর জন্য ফাইলিংয়ের সময় সব মামলা ও দরখাস্তের ওপর নিয়োজিত আইনজীবীর ই-মেইল অ্যাড্রেস উল্লেখ করতে হবে।
৩. ফাইলিং শাখায় ইতোমধ্যে দাখিলকৃত মামলা ও দরখাস্তসমূহের ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতির পূর্বের প্রচলিত পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।
৪. শরীরিক উপস্থিতি ও ভার্চুয়াল উভয় পদ্ধতিতে মামলা ও দরখাস্ত শুনানির জন্য করোনা পরিস্থিতির পূর্বের প্রচলিত নিয়ম অনুসারে দৈনিক কার্যতালিকা প্রস্তুত ও প্রচারিত হবে।
৫. নকল শাখার স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকায় শারীরিক উপস্থিতি ও ভার্চুয়াল উভয় পদ্ধতিতে পরিচালিত সব বেঞ্চ থেকে প্রদত্ত আদেশ এবং রায়ের নকল করোনা পরিস্থিতির পূর্বের প্রচলিত নিয়মে সরবরাহ করা হবে।