বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়া। ১৯৫৭ সালে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেটির নামের সঙ্গে মিল রেখে নতুন ভ্যাকসিনের নামকরণ করা হয়েছে ‘স্পুটনিক-৫’। ইতোমধ্যে ২০টি দেশ এ ভ্যাকসিন নিতে চেয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ তহবিলের (আরডিআইএফ) প্রধান।
মঙ্গলবার আরডিআইএফ প্রধান কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেন, ‘আমরা বহির্বিশ্বে রাশিয়ার গামালেয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি ভ্যাকসিনের প্রতি উল্লেখযোগ্য আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। ২০টি দেশ থেকে প্রাথমিকভাবে ১০০ কোটি ডোজের অর্ডার এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে আমরা ইতোমধ্যে পাঁচটি দেশে বছরে ৫০ কোটি ডোজ তৈরির ব্যবস্থা নিয়েছি। উৎপাদন আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
এ রুশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখন পর্যন্ত লাতিন আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার দেশগুলোই ভ্যাকসিনের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা ভ্যাকসিন বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছি।’
রাশিয়া সবার আগে করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদন দিলেও সমালোচকদের দাবি, রাজনৈতিক চাপের কারণে রুশ ভ্যাকসিন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অনেক ঝুঁকির বিষয় বাদ দেয়া হয়েছে। রাশিয়াকে বিশ্বের বৈজ্ঞানিক গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে উপস্থাপনে গবেষকদের ওপর দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরিতে চাপ ছিল বলে দাবি অনেকের।
রুশ ভ্যাকসিনটির এখনও তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে পাস করা বাকি। দিমিত্রিয়েভ জানিয়েছেন, ‘এ ট্রায়াল বিদেশেই হবে। আমরা ইতোমধ্যে গামালেয়া ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।’
এর আগে মঙ্গলবার এক সরকারি বৈঠকে করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদনের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেন, ‘মস্কোর গামালিয়া ইনস্টিটিউটের তৈরি এ ভ্যাকসিন রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পেয়েছে। শিগগিরই ব্যাপকহারে এর উৎপাদন শুরু হবে।’
এসময় রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, তার নিজের মেয়ের শরীরেই এর পরীক্ষা চালানো হয়েছে এবং এতে ভ্যাকসিনটি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
সূত্র : সিএনএন