করোনায় মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার ছাড়াল, নতুন শনাক্ত ২৯৯৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাস
ফাইল ছবি

দেশে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনই প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হচ্ছেন হাজারো মানুষ। মৃতের তালিকাতেও যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম। গত ২৪ ঘণ্টায় অদৃশ্য ভাইরাসটি কেড়ে নিয়েছে আরও ৪২ প্রাণ। ফলে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো তিন হাজার ৫১৩ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৯৯৫ জনের মধ্যে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ৬৬ হাজার ৪৯৮ জন।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য জানাতে প্রথম ব্রিফিং আয়োজন করে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ ব্রিফিং করতেন। মার্চের শেষের দিকে নিয়মিত এ ব্রিফিং পরিচালনা করতে থাকেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস বিভাগের পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান।

এরপর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে অনলাইনে ব্রিফিং পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই সময় সাংবাদিকরা জুম প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হয়ে ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিতে পারতেন। কিন্তু এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সাংবাদিকদের যুক্ত হওয়ার পর্বটি বাদ দিয়ে ‘বুলেটিন’ আকারে এটি উপস্থাপন শুরু হয়। এতে নিয়মিত তথ্য উপস্থাপন করে আসছিলেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা। করোনাভাইরাসের আপডেট জানাতে প্রায় পাঁচ মাস ধরে চলে আসা দুপুরের স্বাস্থ্য বুলেটিন আজ থেকে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়মিত আপডেট দেয়ার কথা জানানো হয়।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই হাজার ৯৯৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানানো হয়। তাদের নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ায় দুই লাখ ৬৬ হাজার ৪৯৮ জনে। একই সময়ে ৪২ জনের মৃত্যু হওয়ায় এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৫১৩ জনে। এছাড়া নতুন করে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ১১৭ জন।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।

ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি। ৭ম দফায় বাড়ানো ছুটি চলে ৩০ মে পর্যন্ত। ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি নেই। এখন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ভিত্তিক লকডাউন দেয়া হয়। তাই অফিস আদালতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় সরঞ্জামাদি রাখা ও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে