সেনাবাহিনীর অবসরগ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া পুলিশের চার সদস্য ও এই ঘটনায় পুলিশের দায়ের হত্যা মামলায় তিন সাক্ষীকে রিমান্ডের জন্য নিয়ে গেছে র্যাব।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে র্যাবের একটি টিম ৭ আসামিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে নিয়ে যায়।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মোহাম্মদ মোকাম্মেল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে ৭ জনকে আজ সকাল ১০টায় র্যাব রিমান্ডের জন্য নিয়ে গেছে।
যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন- কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া। পুলিশ দায়েরকৃত মামলার সাক্ষী মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ।
কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে বিচারক তামান্না ফারাহর এই সাতজনের প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গত বুধবার এই আদেশ দিয়েছিলেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার জেল গেটে গিয়ে আসামিদের ছাড়াই ফেরত চলে যায় র্যাবের বহর। আজ সকালে ৭ আসামিকে জেল থেকে নিয়ে যায় র্যাব-১৫।
৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করা টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলালকে এখনও রিমান্ডে নেয়া হয়নি। এই তিনজন কারাগারে রয়েছেন। তাদেরকেও যে কোনো সময় কারাগার হতে র্যাব হেফাজতে রিমান্ডে নেয়া হবে।