মহামারি নভেল ‘করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম’ দাবি করে নিজেদের তৈরি স্পুটনিক-ভি নামে সম্প্রতি যে ভ্যাকসিনটির অনুমোদন দিয়েছিল; খুচরা বাজারে বিক্রির লক্ষ্যে তার উৎপাদন শুরু করেছে রাশিয়া। রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এ খবর দিয়েছে। বিশ্বে করোনা প্রতিরোধে রাশিয়াই ‘প্রথম ভ্যাকসিন’ আবিষ্কার করেছে।
মস্কোর গামালেয়া ইনস্টিটিউট দেশটির সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে এ ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে। রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ দিকে ভ্যাকসিনটি বাজারজাত করা হবে। তবে রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিনেরে কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্বের বিজ্ঞানী মহল।
শনিবার রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচ বাজারে বিক্রির জন্য অবমুক্ত হবে। ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীরাই শুধু এমন কথা বলছে।
তিনি আরও জানান, এই ভ্যাকসিন গ্রহণকারীরা কোনো ধরনের সমস্যার মুখে পড়ছেন কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।
রাশিয়ার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে সৃষ্ট আন্তর্জাতিক উদ্বেগ নাকচ করে দিয়ে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গত ১৩ আগস্ট বলেন, তাদের অনুমোদিত করোনার টিকা নিয়ে উদ্বেগ-সংশয় ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’।
গত মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চূড়ান্ত ঘোষণা (অনুমোদনের ঘোষণা) দেন। তিনি বলেন, তার দেশ করোনা প্রতিরোধের টিকা আবিষ্কারে বিশ্বে প্রথম হয়েছে।
রাশিয়ার অনুমোদিত এই ভ্যাকসিন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই সংশয় ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন দেশের গবেষক বলেছেন, এটা নিশ্চিত যে টিকাটি উদ্ভাবনে রুশ গবেষকরা তাড়াহুড়ো করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি রুশ ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ ও কার্যকর হতে পারে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেছেন, ভ্যাকসিন থাকা আর তা নিরাপদ ও কার্যকর হওয়া আলাদা দুটি জিনিস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, তারা ভ্যাকসিনটির ব্যাপারে খুঁটিনাটি পর্যালোচনা না করে অনুমোদনই দেবে না।