বাংলাদেশে থেকে বিদেশে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে খরচ বাড়ছে। সরকারের ধার্য করা ‘বিমানবন্দর উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ফি’ নামে এটি কার্যকর হতে যাচ্ছে আজ রবিবার থেকে।
বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের যেকোনো বিমানবন্দর দিয়ে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি পাঁচ ডলার এবং নিরাপত্তা ফি ছয় ডলার দিতে হবে। আবার দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও সমপরিমাণ অর্থ দিতে হবে।
অন্যদিকে সার্কভুক্ত দেশের বাইরে ভিন্ন কোনো দেশে গেলে যাওয়া এবং আসার ক্ষেত্রে একজন যাত্রীকে ৪০ ডলার দিতে হবে।
বাংলাদেশের বিমান এবং পর্যটন মন্ত্রণালয় বলছে, বিদেশে আসা-যাওয়া করা যাত্রীদের ক্ষেত্রেই নয়, দেশের ভেতরে বিমানে যারা ভ্রমণ করবেন তাদের ক্ষেত্রেও বিমানবন্দর উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ফি দিতে হবে। দেশের অভ্যন্তরে একবার বিমানবন্দর ব্যবহার করলেই ১৭০ টাকা দিতে হবে।
বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, বাংলাদেশের বিমান বন্দরগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতি বছর প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা খরচ হয়।
দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে – একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিচালনা ব্যয় মেটানোর জন্যই এ ফি ধার্য করা হয়েছে।
ধার্যকৃত ফি থেকে সরকার প্রতিবছর ৬০০ কোটি টাকার মতো পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ ধরনের ফি নেবার প্রচলন আছে বলে দাবি করেন সিনিয়র সচিব মহিবুল হক। তিনি বলেন, ‘এই রিজিওনের ভেতরে আমরা সবচেয়ে বিলম্বে এটা কার্যকর করতে যাচ্ছি এবং সবচেয়ে কম অর্থ আমরা নিতে যাচ্ছি।’
তবে সরকার এ ফি ধার্য করায় অনেকে এর সমালোচনা করেছে। তাদের যুক্তি হচ্ছে, বাংলাদেশে এমনিতেই বিদেশি পর্যটক অনেক কম আসে, তাই বাড়তি এই ফি বিদেশি পর্যটকদের আরও নিরুৎসাহিত করতে পারে।
কিন্তু এ ধরনের যুক্তি ঠিক নয় বলে মনে করেন বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহিবুল হক। তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে যারা টুরিস্ট আসবে, এতটা ইন ডিটেইলস কারো জানারও কথা নয়। বাংলাদেশ থেকে যদি একজন যাত্রী লন্ডনে যায়, তাহলে সেও জানে না বিমানের টিকিটের সাথে আর কী কী যুক্ত হয়।’
বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে সেবার মান নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ এবং হতাশা লক্ষ্য করা যায়। সেবার মান উন্নয়ন না করে বাড়তি ফি ধার্য করার সমালোচনা করছেন অনেকেই। তবে বিমান মন্ত্রণালয় বলছে, সেবার মান বৃদ্ধির সাথে অর্থের সংস্থার করাটাও জরুরি বিষয়।