প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা প্রতিনিয়ত কেড়ে নিচ্ছে হাজারো প্রাণ। আক্রান্তের তালিকাতেও যোগ হচ্ছে লাখ লাখ মানুষের নাম। চীন থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ৭ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ কোটি ১৮ লাখ।
করোনা নিয়ে আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ১৮ লাখ ২৪ হাজার ১০৭ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩২ জন।
তবে করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক কোটি ৪৫ লাখ ৫৮ হাজার ৩২৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ৬২৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৫৩৩ জনের। একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির সবগুলো অঙ্গরাজ্যেই হানা দিয়েছে করোনা। দেশটিতে প্রতিদিনই গড়ে ৫০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পরেই সংক্রমণে এগিয়ে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল, ভারত, রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, পেরু, মেক্সিকো, কলম্বিয়া, চিলি এবং স্পেন।
আক্রান্ত ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছে নেই কোনো দেশ। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৩২। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ১২৮ জন।
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ১৯৭ জন। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৮৭৯ জন।
তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ লাখ ৪৭ হাজার ৩১৬। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫১ হাজার ৪৫ জন।
চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯ লাখ ২২ হাজার ৮৫৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ১৫ হাজার ৬৮৫ জন।
সংক্রমণে ৫ম অবস্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকায় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৪৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৮৩৯ জনের।
প্রাণঘাতী ভাইরাসটির সংক্রমণ বাড়ছে বাংলাদেশেও। ১৬ নম্বর অবস্থানে থাকা বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৬ হাজার ৫৪৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৬৫৭ জনের। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক লাখ ৫৮ হাজার ৯৫০ জন।