সিনহা হত্যা মামলা : তদন্ত কমিটির মুখোমুখি ওসি প্রদীপসহ তিনজন

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সিনহা হত্যা
মেজর সিনহা, এসআই লিয়াকত, ওসি প্রদীপ। ফাইল ছবি

কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা তিন আসামি টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি।

প্রদীপ কুমার ছাড়া যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল।

universel cardiac hospital

সোমবার বেলা ১১টার দিকে কারাগারে থাকা ৩ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্ত কমিটি। কক্সবাজারের জেল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তদন্ত টিমে রয়েছেন কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মিজানুর রহমান, সদস্য চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাকির হোসেন, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাজাহান আলি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রতিনিধি সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজ্জাদ।

তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তদন্ত কমিটি র‌্যাবের ৭ দিনের রিমান্ডে থাকা বাকি সাত আসামিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানা গেছে।

রিমান্ডে থাকা ৭ আসামি হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) লিটন, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন এবং টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার ৩ সাক্ষী মো. নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আয়াস। আদালতের নির্দেশে গত শুক্রবার তাদেরকে রিমান্ডে নেয় র‌্যাব।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। সিনহা তার পরিচয় দিয়ে তল্লাশিতে বাধা দিয়েছিল বলে দাবি করে পুলিশ। পরে পিস্তল বের করলে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ তাকে গুলি করে। পুলিশ এ ঘটনায় মামলায় সিনহার দুই সঙ্গীকে আসামি এবং নূরুল, নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজকে সাক্ষী করে।

ঘটনার পাঁচদিন পর সিনহার বোন নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীকে আসামি দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীসহ আর চার পুলিশ সদস্যকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যার ১৫-এর সহকারী পরিচালক এএসপি জামিনুল হক। শুনানি শেষে আদালত তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। ওসি প্রদীপসহ অন্য তিন পুলিশ সদস্যের রিমান্ড আবেদন আদালত মঞ্জুর করলেও কারাগার থেকে র‌্যাব তাদের এখনও হেফাজতে নেয়নি। আজ সকালে এই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে