অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা আসামিরা গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান তিনি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সকল তথ্য, ফোনালাপ, অডিও, ভিডিও তদন্ত কর্মকর্তারা আমলে নিয়েছেন। সবকিছু সমন্বয় করে একটি ইতিবাচক তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিপ্রার কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া ২৯ আইটেমের ইলেকট্রনিক ডিভাইস র্যাবকে দিয়ে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেখান থেকে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলো ছাড়া বাকি পণ্য আবেদন সাপেক্ষে শিপ্রাকে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
তদন্তের স্বার্থে রিমান্ডের সবকিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ করা যাচ্ছে না জানিয়ে আশিক বিল্লাহ বলেন, সবকিছু গুছিয়ে হত্যার মূল কারণ উদঘাটন করে আদালতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ।
পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন।
৫ আগস্ট টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। পরদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি।