বাংলাদেশে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যুর হার। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হন। এরপর থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত ১৬৭ দিনে শনাক্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৯২ হাজার ৬২৫ জনে। এর ফলে সংক্রমণে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরই এখন বাংলাদেশের অবস্থান।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাভাইরাস বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৩৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দুই হাজার ২৬৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন এ শনাক্তের ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তানকে টপকে গেছে বাংলাদেশ। দুপুর পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারে দেয়া তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানে শনাক্তের সংখ্যা দুই লাখ ৯২ হাজার ১৭৪। আর বাংলাদেশে দুই লাখ ৯২ হাজার ৬২৫। এখন ২৯ লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৮ জনের সংক্রমণ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের আগে রয়েছে কেবল ভারত।
নতুন সংক্রমণের ফলে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫ তম। এশিয়ায় চতুর্থ। এশিয়ায় ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের আগে রয়েছে কেবল ভারত, ইরান ও সৌদি আরব। সবগুলো দেশই করোনার উৎসস্থল চীনকে ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগেই।
এদিকে শনাক্তের সংখ্যায় পাকিস্তানকে টপকে গেলেও বাংলাদেশে মৃত্যুহার অনেক কম। পাকিস্তানে এ পর্যন্ত মারা গেছে ছয় হাজার ২৩১ জন। আর বাংলাদেশে নতুন ৪৬ জনসহ মোট মৃত্যু তিন হাজার ৯০৭ জনের। ভারতে এ পর্যন্ত মৃত্যু ৫৫ হাজার ৯৫০ জনের।
আর ওয়ার্ল্ডওমিটারে দেয়া তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৭৫ হাজার ৩১৫ জন। দেশটিতে সক্রিয় রোগী এখন ১০ হাজার ৬২৬। বাংলাদেশে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৭ জন। ফলে সক্রিয় রোগী এক লাখ ১৭ হাজার ৫৮ জন। ভারতে সুস্থ হয়েছেন ২২ লাখ ২৩ হাজার ২০২ জন। দেশটিতে এখনো সক্রিয় রোগী সাত লাখ ৪১০ জন।
দক্ষিণ এশিয়ায় সংক্রমণের চিত্র
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে আফগানিস্তানে এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৯৫৩ জন শনাক্ত ও এক হাজার ৩৮৫ জনের মৃত্যু, নেপালে ৩০ হাজার ৪৮৫ জন শনাক্ত ও ১৩৭ জনের মৃত্যু, শ্রীলঙ্কায় দুই হাজার ৯৪১ শনাক্ত ও ১১ জনের মৃত্যু, মালদ্বীপে ছয় হাজার ৫৬৪ শনাক্ত ও ২৬ জনের মৃত্যু। এছাড়া ভুটানে ১৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, মৃত্যু একজনের।