নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার সাথে সাথেই সাকিব আল হাসানকে দলে পেতে চায় বিসিবি। বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন দিয়েছিলেন সে আভাসই। এদিকে সেপ্টেম্বরেই নিজেকে ফিরে পাওয়ার মিশনে নামছেন টাইগার অলরাউন্ডার। বেছে নিয়েছেন শৈশব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিকে। জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকতে না পারলেও এককভাবে কোচরা দেখভাল করতে পারবেন সাকিবের অনুশীলন।
প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো কিছুদিন আগে জানিয়েছেন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলেই সাকিবকে পেতে চান। তবে সেক্ষেত্রে তর ফিটনেস ও কিছু প্রস্তুতি ম্যাচে প্রমাণের বিষয় আছে। এদিকে নিষিদ্ধ বলে জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্পে হওয়া প্রস্তুতিমূলক ম্যাচগুলোতেও খেলানো যাবে তাকে। যে কারণে সাকিবকে বিবেচনা করার মতো উপলক্ষ্য খুঁজছিল বিসিবি। আইসিসির সাথে যোগাযোগ করে কোনো পথ পাওয়া যায় কি না সেটিরও অনুসন্ধান চলে।
অবশেষে কিছুটা স্বস্তি অবশ্য মিলছে। সাকিব বোর্ডের সুবিধা ও কোচদের পরামর্শ নিতে পারবেন। ফলে ম্যাচ অনুশীলন না হলেও কাছ থেকে দেখে সাকিবকে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি তার ফিটনেস সম্পর্কেও ভালো ধারণা পাবে কোচরা। যার মানে দাঁড়াচ্ছে বিকেএসপিতে প্রিয় কোচদের বাইরে জাতীয় দলেরৈ কোচদেরও দেখা যাবে মাঝে মাঝে। মূলত কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও নাজমুল আবেদীন ফাহিমের অধীনেই নিজেকে ঝালিয়ে নিবেন টাইগার অলরাউন্ডার।
সাকিবের বিসিবি সুযোগ সুবিধা ও কোচদের সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আইসিসির নির্দেশনা অনুযায়ী সাকিব বোর্ডের সুযোগ-সুবিধা এবং কোচদের সাহায্য নিতে পারবে। সে চাইলে বোর্ড তাকে সাহায্য করবে।
এদিকে বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানান টাইগার অলরাউন্ডারকে নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনাও অনেকটা চূড়ান্ত। প্রথম কাজ হবে ফিটনেস ফিরিয়ে আনা। সে যখন মাঠে নামবে তখন যেন আগের মতো ভালো খেলতে পারে, সেই লক্ষ্যেই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। তবে আমরা তার ক্রিকেটীয় দিকগুলো নিয়ে তেমন চিন্তিত নই। মাঠে নামার মতো ফিটনেস আনাটাই বেশি চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। শুরুতে সেটা নিয়ে কাজ হবে।
প্রসঙ্গত, ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে সাকিব আল হাসানের। অন্যদিকে অক্টোবরে শেষ সপ্তাহেই শুরু হবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজ। প্রথম টেস্টে খেলা হচ্ছে না নিষেধাজ্ঞার কারণে, তবে পরের দুই টেস্টে তাকে দলে পেতে মরিয়া বিসিবি। তবে আয়োজন সাজানো হচ্ছে সেভাবেই।