একটি মোবাইল অপারেটরের বিজ্ঞাপনে মডেল হয়ে সাড়া ফেলেছিল শিশুশিল্পী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। এর পরই ডাক পায় চলচ্চিত্রে। মা দোয়েল ও বাবা সুব্রত—দুজনই চলচ্চিত্রের মানুষ। তাঁদের দেখানো পথেই নেমে পড়ে ছোট্ট দীঘি। ‘চাচ্চু’, ‘দাদী মা’, ‘পাঁচ টাকার প্রেম’সহ একের পর এক হিট ছবি উপহার দিতে শুরু করে সে। একটা সময় তাকে ঘিরেই তৈরি হতো চলচ্চিত্রের গল্প। মাঝখানে অনেক দিন চলচ্চিত্র থেকে দূরে ছিল দীঘি। পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছে। যদিও সেই সময়টা তাকে ঘিরে সংবাদমাধ্যম, এমনকি চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্টরাও ছিল সরব।
বারবার শোনা গেছে, শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে ফিরছেন দীঘি। এমনও শোনা গেছে, শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন তিনি। যদিও পরে খবরগুলো গুঞ্জন হিসেবেই রয়ে গেছে। অনেক পরিচালক-প্রযোজক দীঘিকে কাস্টিং করতে চেয়েও পারেননি। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছে শাপলা মিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সেলিম খান দীঘিকে দুটি ছবিতে নায়িকা চরিত্রে চুক্তিবদ্ধ করেছেন। এর মধ্যে ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ নামের একটি ছবির শুটিংও শুরু হয়েছে। আরেকটির নাম ‘ধামাকা’। দুটি ছবিতেই দীঘির নায়ক শান্ত খান।
দীঘি বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমি কোন ছবি করব আর কোনটা করব না তার সিদ্ধান্ত নিতেন মা। মা বেঁচে নেই। এখন আমার সব সিদ্ধান্ত নেন বাবা। শাপলা মিডিয়া এই সময়ে সবচেয়ে বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। সেলিম আংকেলও আমাকে মেয়ের মতো স্নেহ করেন। বাবা ভেবে দেখেছেন এই ছবিতে কাজ করলে আমার জন্য ভালো হবে। আমিও বাবার কথায় রাজি হয়েছি।’
শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে অনেকেই সফল হতে পারেননি। তবে দীঘির ব্যাপারে আশাবাদী প্রযোজক সেলিম খান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে দীঘির অনেক ভক্ত। তাকে চেনেন না এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। আমার ধারণা, দীঘিকে নায়িকা রূপে দেখতে চাইবেন তার ভক্তরা। শান্ত ও দীঘি একসময় সফল জুটি হবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে।’