সারা দেশে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে চলেছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা ট্রেনগুলো ধাপে ধাপে চালু হচ্ছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চালু হচ্ছে আরো ১৯ জোড়া ট্রেন। এর আগে কয়েক দফায় ৪৮ জোড়া ট্রেন চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। এসব ট্রেন চালু হলে সারা দেশে ৬৭ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।
করোনা পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর ও নরসিংদী স্টেশনে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ট্রেন থামবে। কোটা অনুযায়ী টিকিটও বিক্রি হবে। ট্রেনে বিক্রি হবে খাবার। রাতের যাত্রায় উচ্চ শ্রেণির যাত্রীদের কম্বল, চাদর ও বালিশ সরবরাহ করা হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এসব বন্ধ রাখা হয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশন) খায়রুল কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নতুন ট্রেন চালুর বিষয়ে জানানো হয়।
গত ২৪ মার্চ থেকে সারা দেশে চলমান ট্রেন বন্ধ করা হয়। ৬৬ দিন পর ৩১ মে সীমিত পরিসরে ট্রেন চালু করা হয়। ওই সময় প্রথম দফায় আট জোড়া ও দ্বিতীয় দফায় ১১ জোড়া আন্ত নগর ট্রেন চলাচল শুরু করে। তবে যাত্রী সংকটের কারণে দুটি ট্রেন বন্ধ করা হয়।
এরপর ১৬ আগস্ট ১২ জোড়া আন্ত নগর ও এক জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু হয়। আগামী ২৭ আগস্ট থেকে আরো ১৮ জোড়া ট্রেন চালু হবে। আর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আন্তনগর, লোকাল ও মেইল মিলে চালু হচ্ছে আরো ১৯ জোড়া ট্রেন।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চালু হতে যাওয়া ট্রেনগুলো হচ্ছে—মহানগর গোধূলি/প্রভাতী ও তূর্ণা এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা ও উপবন এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, মহানন্দা এক্সপ্রেস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রহনপুর রুটে লোকাল, মহানন্দা এক্সপ্রেস, পদ্মরাগ কমিউটার, নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস, সাগরিকা কমিউটার, উত্তরা এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার ও বেতনা এক্সপ্রেস।
ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়ছে—যাত্রার দিনসহ ১০ দিন আগে থেকে অগ্রিম টিকিট কিনতে পারবেন যাত্রীরা। আন্ত নগর ট্রেনের সব টিকিট মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইনে বিক্রি হবে, অনলাইনে কেনা টিকিট ফেরতযোগ্য নয়। আন্ত নগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ধারণক্ষমতার অর্ধেক টিকিট বিক্রি হবে। ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বিমানবন্দর, জয়দেবপুর ও নরসিংদী স্টেশনে আন্ত নগর, কমিউটার, মেইল ট্রেন থামবে। এসব স্টেশন থেকে টিকিটও বিক্রি হবে।