আফগানিস্তানে প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেকে। বন্যায় অসংখ্য ঘর-বাড়ি তলিয়ে গেছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন পারওয়ান প্রদেশের মুখপাত্র ওয়াহিদা শাহকার।
আফগান সরকার, তালেবান বিদ্রোহী ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শান্তি আলোচনা সত্ত্বেও দেশটিতে সহিংসতা অব্যাহত আছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখেই আকস্মিক বন্যা শুরু হলো।
বিবিসি জানায়, প্রবল বৃষ্টিতে বুধবার ভোরে রাজধানী কাবুল থেকে উত্তরে প্রদেশটিতে আকস্মিক এ বন্যা সৃষ্টি হয়। এ সময় মানুষ ঘুমিয়ে ছিল।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে,বন্যায় প্রদেশের রাজধানী শহরে চারিকরের বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে ৫০০ শতাধিক ঘরবাড়ি। মাটির নিচে চাপা পড়ে আছে অনেক মানুষ। তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকর্মীরা মৃতদের সংখ্যা প্রকাশ করছে। এতে দেখা গেছে, এখন পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি মৃত উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। পারওয়ান কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
হতাহতের মধ্যে নারী, শিশুসহ সব বয়সী মানুষ আছে। এখনও অনেক মানুষ তাদের স্বজনদের নিখোঁজ থাকার কথা স্থানীয় সাংবাদিকদের জানাচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় মানুষ মাটির নিচে চাপা পড়ে যাওয়া স্বজনদের উদ্ধারে ব্যস্ত দেখা গেছে।
বন্যায় শতাধিক মানুষের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আশরাফ ঘানি। এক বিবৃতিতে তিনি পারওয়ানে জরুরি সহায়তা পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে।