ফারুকী হত্যা: পরিকল্পনাকারী জেএমবি নেতা ভারতে আত্মগোপনে

ডেস্ক রিপোর্ট

মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের উপস্থাপক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী। ফাইল ছবি

ছয় বছর আগে ঘটে যাওয়া ইসলামি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যার এখনো কূলকিনারা হয়নি। তবে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির তদন্তে এ হত্যায় জেএমবির সংশ্লিষ্টতা উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এর আগে হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার মামলার রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাদিসুর রহমান সাগরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ফারুকী হত্যার বিষয়ে তথ্য জানিয়েছেন। সাগর জবানবন্দিতে ফারুকী হত্যার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করেন।

সাগরের দেওয়া নামগুলোর মধ্যে এমন একজন জেএমবি নেতা রয়েছেন; যিনি ভারতে আত্মগোপন করেছেন। ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খাগড়াগড়ে জেএমবির আস্তানায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর ঐ জেএমবি নেতা সেখান থেকে পালিয়ে আত্মগোপন করেন।

universel cardiac hospital

২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট রাতে রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের বাসায় মাওলানা ফারুকীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তার ছেলে ফয়সাল ফারুকী শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে ঢাকা মহানগর অপরাধ তথ্য ও গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

পরে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে সিআইডির সিরিয়াস ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব ফরহানের নেতৃত্বাধীন টিম মামলাটি তদন্ত করছে।

সূত্র জানায়, চার বছর ডিবিতে থাকার পর গত দুই বছর ধরে মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। সর্বশেষ গত ২৩ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ ছিল। ছুটি শেষে আগামী ১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য করে আদালত।

ইতিমধ্যে আদালতে ৪৬ বার সময় নিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা। সিআইডি বলছে, এ হত্যার প্রধান হোতা পুরাতন জেএমবির এক শীর্ষ নেতাসহ কয়েক জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করতে না পারায় আটকে আছে তদন্ত প্রতিবেদন।

পুলিশ সদর দপ্তরের ইন্টারপোল শাখার মাধ্যমে ঐ শীর্ষ জঙ্গিকে গ্রেফতার করার তত্পরতা চালাচ্ছে সিআইডি। শীর্ষ ঐ জঙ্গি নেতা গ্রেফতার হলেই এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়া সহজ হবে বলে আশা সিআইডির।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব ফরহান বলেন, গত পাঁচ মাস আগে মামলাটি তদন্তের জন্য তার কাছে আসে। তদন্তে এ হত্যায় কারা জড়িত তা পরিষ্কার হয়েছে অনেকটা। ভাটারা এলাকায় জঙ্গি অভিযানে গ্রেফতার হওয়া আবু রায়হান ওরফে মাহমুদ ওরফে হাদী নামে জেএমবির এক সদস্যকে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। এ হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী এক জেএমবি নেতা ভারতে আত্মগোপন করেছেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে