সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়ে চুক্তির পর প্রথমবারের মতো বিমান যোগাযোগ শুরু হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরায়েলের। ৩১ আগস্ট (সোমবার)থেকে তেল আবিব ও আবুধাবির মধ্যে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। ঐতিহাসিক এই যোগাযোগের সময় উপস্থিত থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার। খবর আল জাজিরার।
খবরে বলা হয়েছে, সোমবার ইসরায়েল থেকে ই-১ এ-১ এর একটি বিমান উড্ডয়ন করে আবুধাবিতে অবতরণ করবে। শুক্রবার ইসরায়েলি বিমানসংস্থা ই-১ এ-১ এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মার্কিন এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাণিজ্যিক এই ফ্লাইটে দুই দেশের মাঝে চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালনকারী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগীরা আমিরাতে পৌঁছাবেন। ই-১ এ-১ এর ফ্লাইটে মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এবং জামাতা জ্যারেড কুশনারও থাকবেন।
বিমানটি তেলআবিব থেকে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় আমিরাতের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। ই-১ এ-১ এর ওই মুখপাত্র বলেছেন, পরদিন (মঙ্গলবার) সকালে আবু ধাবি থেকে তেলআবিবের উদ্দেশে বিমানের ফ্লাইটটি ফেরার কথা রয়েছে। ইসরায়েলের বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (আইএআই) ওয়েবসাইটে এই বিমান চলাচলের সময়ের ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে আকাশপথে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক কোনও যোগাযোগ নেই। তবে বিমান পরিবহনের সময় কমিয়ে আনতে সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহার করা হবে কিনা সেবিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। সৌদি আরবের সঙ্গে ইসরায়েলের আকাশপথে কোনো যোগাযোগ নেই।
মার্কিন ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ফ্লাইটের সঠিক রুট এবং অবতরণের সময় নির্ধারণের ব্যাপারে এখনও কাজ চলছে।
এর আগে, গত মে মাসে ইতিহাদ এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ফিলিস্তিনিদের করোনাভাইরাস চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার উদ্দেশে আমিরাত থেকে তেল আবিবে যায়। এটিই ছিল আমিরাতের কোনো বিমানসংস্থার ইসরায়েলে প্রথম ফ্লাইট।
গত ১৩ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইসরায়েল জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তিতে পৌঁছেছে তারা। এরই মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের টেলিফোন যোগাযোগ স্থাপন করা হয়।