চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত এক প্রবাসীর স্ত্রী বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ এনে ওসিসহ ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
বুধবার (২৬ আগস্ট) চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার কৌশিক আহমেদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভূজপুর থানা পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী শারমিন আক্তার। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে হাটহাজারী সার্কেলকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- ভূজপুর থানার ওসি শেখ আবদুল্লাহ, ভূজপুর থানার সেকেন্ড অফিসার শাহাদাত হোসেন, এসআই রাশেদুল হাসান, এসআই প্রবীণ দেব, এএসআই কল্পরঞ্জন চাকমা এবং আবদুল মান্নান।
নিহত হেলাল উদ্দিন একই এলাকার জাফর আলমের ছেলে। প্রবাসে থাকলেও বেশ কিছুদিন আগে তিনি দেশে আসেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী জিয়াউদ্দিন বলেন, গত ২৩ মে রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুরে দুই স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে একদল দুর্বৃত্ত। এ মামলার আসামি দেখিয়ে প্রবাসী হেলাল উদ্দিনকে বন্দুকযুদ্ধে হত্যা করা হয়। আমরা আদালতকে মামলাটি তদন্তের জন্য র্যাবকে দেয়ার আবেদন করেছি। আদালত বিষয়টির প্রাথমিক তদন্ত শেষে অধিকতর তদন্তের জন্য র্যাবকে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
মামলার বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট ইন্সপেক্টর সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, ভূজপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে আমি এখনও কোনো কাগজপত্র হাতে পাইনি। কাগজপত্র হাতে পেলে আদালতের নির্দেশনা মতে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
ভূজপুর থানার ওসি শেখ আবদুল্লাহর দাবি, ‘দুই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের মতো চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে থানা পুলিশের একটি দল আঁধারমানিকের গলাচিপা এলাকায় গেলে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এ ঘটনার প্রধান আসামি হেলাল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আদালতে মামলার বিষয়ে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।’