এক মাসেও প্রদীপের সাক্ষাৎ পায়নি মন্ত্রণালয়ের কমিটি

ওসি প্রদীপ কুমার দাস
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। ফাইল ছবি

প্রায় এক মাসেও টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের সাক্ষাৎ পায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। এতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত কমিটির প্রতিবেদন এ মাসেও দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে না।

এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় শেষপর্যায়ে চলে এসেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গত ২৩ আগস্ট রিপোর্ট দেয়ার কথা থাকলেও ওসি প্রদীপের সাক্ষাতকার না পাওয়ায় সময় বাড়ানো হয়েছে।

universel cardiac hospital

পরে এক সপ্তাহ বাড়িয়ে রিপোর্ট পেশ করার সময় নির্ধারণ করা হয় ৩১ আগস্ট। প্রদীপ এখন মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাবের কাছে তৃতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে রয়েছে। এই রিমান্ড শেষ হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর।

তদন্ত কমিটির নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি প্রদীপ কুমার দাশের সঙ্গে কথা বলার অপেক্ষায় আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিনহা হত্যার ঘটনা তদন্তের জন্য বিভিন্ন শ্রেণিতে ৬৮ জনের নাম তালিকাভুক্ত করেছে কমিটি। এরই মধ্যে কমিটি ৬৭ জনের সাক্ষাৎকার ইতোমধ্যে শেষ করেছে। বাকি রয়েছে শুধু ওসি প্রদীপ কিন্তু তারও সাক্ষাতকার নেয়ার কথা ছিল ১৯ আগস্ট।

এই সাক্ষাতকার নেয়ার পর ২৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করার কথা ছিল। কিন্তু মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য ওসি প্রদীপকে তার হেফাজতে নেয়ার কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি।

পরে আবেদন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তদন্তের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কেবল একজন আসামি ওসি প্রদীপের সঙ্গে কথা বলার অপেক্ষায় আছি।

মিজানুর রহমানের ভাষ্য, আমরা চলতি আগস্ট মাসের শেষের দিকে (২৯ ও ৩০ আগস্ট) যেকোনো এক দিন প্রদীপ কুমার দাশের সাক্ষাৎ পেতে আদালতে আবেদন করেছিলাম, কিন্তু র‍্যাব তৃতীয় দফার রিমান্ডে নিয়ে যাওয়ার কারণে তার (প্রদীপের) সঙ্গে সাক্ষাৎ হচ্ছে না। এখন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখবে কমিটি।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা।

এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে আটক করে। পরে নীলিমা রিসোর্ট থেকে শিপ্রা দেবনাথকে আটক করা হয়। দুজনই এখন জামিনে মুক্ত।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে