করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কেড়ে নিয়েছে আরও ৪২ জনের প্রাণ। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৫ জন এবং নারী সাতজন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেলেন চার হাজার ২৪৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৮৯৭ জন। এ নিয়ে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ৮২২ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও তিন হাজার ৪৪ জন। ফলে মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই লাখ এক হাজার ৯০৭ জনে।
আজ রোববার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে ৯২টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ১২০টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১১ হাজার ৯৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ফলে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪৯-এ।
শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২১ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৬৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
গতকালের পরিস্থিতি
গতকাল শনিবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ জন মারা গেছেন। ১১ হাজার ৬৮৯টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা মিলেছে আরও দুই হাজার ১৩১ জনের দেহে। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।
বৈশ্বিক সর্বশেষ
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা আড়াই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা আট লাখ ৪৭ হাজার প্রায়। তবে পৌনে দুই কোটি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।