দুর্নীতির দায়ে বিচারের মুখোমুখি হওয়া এবং মহামারি করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায়ে অভিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবিতে ইসরায়েলে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন। মাসব্যাপী অব্যাহত রয়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে জেরুজালেমের এ গণবিক্ষোভ।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গতকাল শনিবারও জেরুজালেমের বিক্ষোভে বিশ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেন। তবে বিক্ষোভের আয়োজকরা বলছেন, তারা ৩৭ হাজার অংশগ্রহণকারীকে ব্রেসলেট বিলি করেছেন।
গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নেতানিয়াহুর বাসভবনের পাশ থেকে অনেক বিক্ষোভকারীকে টেনে হিঁচরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এ নিয়ে টানা ১১ সপ্তাহ ধরে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করে ইসরায়েলের সড়কে সড়কে বিক্ষোভ চলছে।
জেরুজালেম ছাড়াও ইসরায়েলের অন্যান্য এলাকায় ছোট ছোট কিছু বিক্ষোভ দেখা গেছে। বিক্ষোভ হয়েছে কায়েসারিয়া নামক শহরে অবস্থিত নেতানিয়াহুর পারিবারিক বাসভবনের বাইরে। জেরুজালেমে বিক্ষোভকারীরা শহরের প্রবেশ পথে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে নেতানিয়াহুর সরকারি বাসভবনের সামনে হাজির হয়।
এ সময় ইসরায়েলের পতাকা ছাড়াও, ‘বিভাজন অনেক হয়েছে’, ‘এটা রাজনীতি নয়, এটা অপরাধ’ লেখা প্ল্যকার্ড হাতে স্লোগান দেন নেতানিয়াহুবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। এদিকে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে বিরোধী নেতা বেনি গান্টজের দলের সঙ্গে নেতানিয়াহু যে জোট সরকার গঠন করেছে তাও পড়েছে হুমকির মুখে।
পার্লামেন্টে বাজেট প্রশ্নে ভোটাভুটি পিছিয়ে দিয়েছে নেতানিয়াহুর জোট সরকারের অংশীদারেরা। যদি ক্ষমতাসীন জোটের দুই অংশীদার বাজেট পেছানোর বিষয়টি নিয়ে কোনো চুক্তিতে সম্মত হতে না পারে তাহলে নেতানিয়াহুর সরকার পতন হবে। আর তা হলে দুই বছরের মধ্যে চতুর্থ বারের মতো নির্বাচন হবে ইসরায়েলে।
তিনটি নির্বাচনে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পর গত মে মাসে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি এবং বেনি গান্টজের ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টি এক মেয়াদে দুই বছর অন্তর দুই দল থেকে দু’জন প্রধানমন্ত্রী হবেন; এমন চুক্তিতে সরকার গঠন করে। কিন্তু দুই দলের মধ্যে মতপার্থক্য আর ব্যবধান রয়ে গেছে।