ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্যান্য সব ধরনের ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের বেশি সুদ নেয়া যাবে না মর্মে নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি সুদহার নিয়ন্ত্রণে আগের সার্কুলার বাতিল করা হয়েছে।
জানা গেছে, আগে ব্যাংকগুলো ইচ্ছেমত সুদহার বাড়াতো। কেন্দ্রীয় ব্যাংক তা নিয়ন্ত্রণে দুই বছর আগে নির্দেশনা জারি করে। এখন যেহেতু ঋণের সুদ ৯ শতাংশের বেশি নেয়ার সুযোগ নেই; তাই সুদহার নিয়ন্ত্রণে আগের জারি করা সার্কুলার বাতিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার ( ৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি হয়েছে।
এর আগে জারি করা (৩০ মে ২০১৮) সার্কুলার অনুযায়ী, বছরে একবার ঋণের সুদহার বৃদ্ধির সুযোগ ছিল। ঋণের সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে তা গ্রাহককে কমপক্ষে তিন মাস আগে নোটিশ দিতে হতো। এছাড়া ঋণের সুদহার ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন মেয়াদি ঋণের বেলায় প্রতিবার অনধিক ০.৫০ শতাংশ এবং চলতি মূলধন ও অন্যান্য ঋণের বেলায় প্রতিবার অনধিক ১ শতাংশ মাত্রায় পরিমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে নতুন সার্কুলারে আগের নিয়ম বাতিল করা হয়েছে।
নতুন সার্কুলারে বলা হয়, ব্যাংকসমূহ কর্তৃক নতুন ঋণ মঞ্জুরি ছাড়াও বিদ্যমান ঋণ হিসাবগুলোতেও অযৌক্তিক মাত্রায় উচ্চতর সুদহার নির্ধারণ রোধ, ঋণ শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নতুনভাবে খেলাপিঋণ সৃষ্টির জন্য আগের ওই সার্কুলারে কতিপয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জারিকৃত বিআরপিডি সার্কুলারের মাধ্যমে ১ এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্যান্য সব ধরনের অশ্রেণিকৃত ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিআরপিডির জারি করা নির্দেশনা রহিত করা হলো।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জারি করা এ নির্দেশনা ১ এপ্রিল ২০২০ তারিখ থেকে কার্যকর বলে গণ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয় সার্কুলারে।