সি আর দত্তের মরদেহ ঢাকায়, শেষকৃত্য কাল

মত ও পথ প্রতিবেদক

বীর উত্তম সি আর দত্ত
বীর উত্তম সি আর দত্ত। ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধকালীন ৪নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জন দত্ত (সি. আর দত্ত) বীর উত্তম-এর মরদেহ ঢাকায় আনা হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস্ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে এসে পৌঁছায় তার মরদেহ। আগামীকাল মঙ্গলবার তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

গত মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সি আর দত্ত মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা বিমান বন্দর থেকে জেনারেল দত্তের মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমাগারে রাখা হবে। সেখান থেকে পরদিন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় তার বনানীর ডিওএইচ এর ২নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বর বাড়ির বাসভবন হয়ে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনার্থে ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্বরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়া হবে। ঢাকেশ্বরী মন্দির চত্তর থেকে আনুমানিক দুই ঘণ্টা পর সকাল ১১টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজারবাগ বরদেশ্বরী শ্মশানে। সেখানে শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আগে জেনারেল দত্তের মরদেহের প্রতি সামরিক সম্মাননা জ্ঞাপনের জন্য গানস্যালুট প্রদান করা হবে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবং হবিগঞ্জে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। সি আর দত্ত যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় তার মেয়ের বাসায় গত ২০ আগস্ট বাথরুমে পড়ে গেলে তার পা ভেঙে যায়। এরপর তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে।

সি আর দত্তের জন্ম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে। তার পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে। তার বাবার নাম উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত এবং মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা দত্ত।

এছাড়াও বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (অধুনালুপ্ত বাংলাদেশ রাইফেলস)-র প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন সি আর দত্ত।

মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চিত্ত রঞ্জন দত্ত বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। এছাড়া ঢাকার কাঁটাবন থেকে কারওয়ান বাজার সিগন্যাল পর্যন্ত সড়কটি ‘বীরউত্তম সি আর দত্ত’ সড়ক নামে নামকরণ করা হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে