বিএনপি চেয়ারপারসন ‘খালেদা জিয়া গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন’ উল্লেখ করে তাকে মুক্ত করতে এবং গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় (ভার্চুয়াল) তিনি এ মন্তব্য করেন।
৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের জন্যই দেশনেত্রী আজকে গৃহবন্দি অবস্থায় কারাবন্দি হয়ে আছেন। গণতন্ত্র, বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য তার যে ত্যাগ- এটা নিঃসন্দেহে অপরিসীম।
তিনি বলেন, আজকে দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের বড় প্রতিজ্ঞা হোক- যেকোনো মূল্যে আমাদের চ্যালেঞ্জ গণতন্ত্রকে উদ্ধার করা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। দেশনেত্রীকে মুক্ত না করলে গণতন্ত্র মুক্ত হবে না- এটা হচ্ছে জরুরি কথা এবং সেটা আমাদের অবশ্যই অত্যন্ত যথাযথ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সফল করতে হবে।
এ জন্য দল ও অঙ্গসংগঠনগুলোকে সংগঠিত হওয়ার আহ্বানও জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, আজ বিশ্ব রাজনীতি পরিবর্তিত হচ্ছে। ১৯৭১ সালে যে পরিস্থিতি ছিল, এখনকার পরিস্থিতি এক নয়। ১৯৭৫ সালে যে পরিস্থিতি ছিল, এখনকার পরিস্থিতি এক নয়। আজকে ২০২০ সালে যে বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপট, সেই বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটকে অনুধাবন করে এবং যোগ্য কৌশল উদ্ভাবন করে আমাদের সেই কৌশলের সঙ্গে গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য গণতান্ত্রিকভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অত্যন্ত সত্য কথা- আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু সেই আন্দোলন কীভাবে ফলপ্রসূ হবে সে বিষয়টা আমাদের দেখতে হবে, বুঝতে হবে এবং তার জন্য আমাদের আলোচনা করতে হবে, আলোচনার মধ্য দিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে সরকারের অপপ্রচারের উদ্দেশে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার কৌশল। এর বিরুদ্ধে ছাত্র সংগঠনকে ‘ভ্যানগার্ডের’ ভূমিকা পালন করতে হবে।
সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আসুন হতাশ হবেন না, অনেকে হতাশার কথা বলেন। হতাশ হওয়ার হওয়ার সুযোগ নেই। এটা বিএনপির ওপর দায়িত্ব। গোটা জাতি এটা বিএনপির ওপর দিয়েছে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, শামসুজ্জামান দুদু, হাবিব উন নবী খান সোহেল, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম বক্তব্য রাখেন।