গেল শনিবার রাত এবং রোববার সকালে দফায় দফায় সংঘর্ষের পরে দুইবার আলোচনা শুরু হলেও এখনো প্যাংগংয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা থামেনি। খবর আনন্দবাজার।
গণমাধ্যমটি বলছে, পিপলস লিবাবেশন আর্মি বিতর্কিত এলাকায় আর্মার্ড রেজিমেন্ট মোতায়েন করায় একই পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতীয় সেনাও। ফলে বেশ কিছু এলাকায় দু’দেশের ট্যাঙ্ক বাহিনী পরস্পরের নিশানায় রয়েছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে বলছে, ১৫ জুন গালওয়ানের সংঘাতের পর গত কয়েক মাসের মধ্যে এটাই সবচেয়ে সব সংঘাতের ঘটনা। সোমবার ভারত ও চীন উভয়ই এই ঘটনায় নিজেদের মতো করে বিবৃতি দিয়েছে। ঘটনার পর দুদেশের কূটনীতি ও রাজনীতিতে নতুন করে তিক্ততা বেড়েছে। তবে ওই দুইদিনে ঠিক কী ঘটেছিল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
প্যাংগং পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য মঙ্গলবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং সেনাপ্রধান এম এম নরভণে বৈঠকে হাজির ছিলেন।
ভারতের দাবি প্যাংগং লেকের দক্ষিণ ভাগে চীনের সেনা দেখতে পেয়ে ভারতীয় জওয়ানরা সেখানে উপস্থিত হয় এবং তাদের পিছু হঠতে বাধ্য করে। অন্যদিকে চীনের দাবি, ভারত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার স্থিতাবস্থা ভেঙে তাদের এলাকার মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। সে কারণেই দুই সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, প্যাংগংয়ের দক্ষিণ প্রান্তে একটি পাহাড়ের উপর নিজেদের দখল কায়েম করেছে ভারত। স্ট্র্যাটেজিক সেই জায়গাটি নিয়েই দুই দেশের সেনার মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর একটি সূত্রের বক্তব্য, এত দিন প্যাংগংয়ের উত্তর প্রান্ত নিয়ে ভারত এবং চীনের মধ্যে বিতর্ক ছিল। এবার দক্ষিণ প্রান্তে সংঘাত তৈরি করে ভারতীয় সেনার দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করছে চীন।
এই সংঘর্ষের ঘটনার পর উভয় পক্ষই নিজেদের মতো করে বিবৃতি দিচ্ছে। একদিকে চীন যেমন বিবৃতি দিয়ে ভারতের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছে।
তবে মঙ্গলবার নয়া দিল্লির চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, চীনে সেনা সংযত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আমরা চাই, ভারতীয় সেনা উস্কানিমূলক আচরণ বন্ধ করুক এবং বৈঠকে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করুক। ভারতীয় সেনা এলএসি লঙ্ঘন করার ফলেই এমন জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।