বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচের পর, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৯৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও ৫ উইকেটে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে কোনো ভুল করেনি বাবর আজমের দল, স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে এককভাবে সিরিজ জিততে দেয়নি সফরকারীরা।
এবার পাঁচ রান করেও ম্যাচ ঠিকই ৫ রানের ব্যবধানে জিতেছে সফরকারিরা। মোহাম্মদ হাফিজের ঝড়ো ৮৬ এবং অভিষিক্ত হায়দার আলির দৃষ্টিনন্দন হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯০ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। জবাবে পুরো ওভার ব্যাট করেও ১৮৫ রানের বেশি করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
আগের ম্যাচে ১৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করার অনুপ্রেরণা সঙ্গেই ছিল স্বাগতিকদের। সে মোতাবেক ১৯১ রান তাড়ার ইনিংসটাও দারুণ করেন ওপেনার টম ব্যান্টন। তবে আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো (০) ও আগের ম্যাচের জয়ের দুই নায়ক ডেভিড মালান (৭) এবং ইয়ন মরগ্যান (১০) ব্যর্থতার পরিচয় দেন।
যার ফলে ব্যান্টনের ৩১ বলে ৪৬ কিংবা পাঁচে নেমে মঈন আলির ঝড়ো ৩৩ বলে ৬১ রানের ইনিংস বৃথাই যায়। এছাড়া লোয়ার মিডল অর্ডারের স্যাম বিলিংস (২৪ বলে ২৬), লুইস গ্রেগরি (৮ বলে ১২) ও ক্রিস জর্ডানরা (২ বলে ১) প্রত্যাশামাফিক খেলতে পারেননি বিধায় পরাজয়ই সঙ্গী হয়েছে স্বাগতিকদের।
ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা আশা জাগানিয়া ছিল না পাকিস্তানের। ইনিংসের পঞ্চম ওভারের মধ্যেই দুই ওপেনার ফাখর জামান (১) ও বাবর আজমের (২১) উইকেট হারায় সফরকারীরা। স্কোরবোর্ডে তখন রান মাত্র ৩২, উইকেটসংখ্যা।
তখন দেখা মেলে দারুণ এক দৃশ্যের। জুটি বাঁধেন পাকিস্তানের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন মুখ হায়দার। দুজনের ৬১ বলে ১০০ রানের জুটিতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় পাকিস্তান। অভিষেকেই ৫ চার ও ২ ছয়ের মারে ৩৩ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলে সকলের প্রশংসা কুড়ান হায়দার।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটিতে ৩৬ বলে ৬৯ রান করেছিলেন হাফিজ। তবু জেতেনি তার দল। শেষ ম্যাচে তিনি খেললেন ৫২ বলে ৪ চার ও ৬ ছয়ের মারে ৮৬ রানের ইনিংস। অপরাজিত থেকে দলকে জেতানোর মতো স্কোর দাঁড় করিয়েই মাঠ ছাড়েন প্রফেসরখ্যাত হাফিজ।
পাকিস্তানের পাঁচ রানের জয়ে সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়। শেষ ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচের পাশাপাশি ম্যান অব দ্য সিরিজের পুরস্কারও জিতেছেন মোহাম্মদ হাফিজ।