প্রায় দুই দশক ধরে বার্সেলোনার সঙ্গে মেসি ওতপ্রোতভাবে জড়িত, গত দুই দশকে দলের সব ধরনের সাফল্যে মেসির অবদান অনস্বীকার্য। তবে গত মৌসুমে বার্সা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লিও’র সম্পর্ক যুতসই ঠেকছিল না। ফলে আলোচনায় আসে মেসির বার্সেলোনা ছাড়ার গুঞ্জন।
শুরুতে দল ছাড়ার গুঞ্জনে কান দেয়নি কেউই, সবার ধারণা ছিল স্পেনেই ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন। তবে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হওয়ার পর আর মেসিকে আটকানো সম্ভব হলো না। অবশেষে সাবেক গুরু পেপ গার্দিওয়ালের ছায়া তলেই যাচ্ছেন লিওনেল মেসি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইএসপিএন ইউকে।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, ৫ বছরের চুক্তিতে ৭০০ মিলিয়ন ইউরোতে ম্যানি সিটিতে যেতে রাজি হয়েছেন মেসি। আর এই অংকটিই হলো মেসির বার্সা ছাড়ার বাই আউট ক্লজ।
এর আগে আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তির সঙ্গে কথা বলতে বার্সেলোনায় যান ম্যান সিটির ‘ডিরেক্টর অব ফুটবল’ চিকি বেগিরিস্তাই।
স্পেনের প্রচারমাধ্যমগুলো জানায়, মেসি যে ম্যান সিটি ক্লাবে যেতে পারেন, তা স্বীকার করেন ক্লাবটির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী টোনি ফ্রেইক্সাও।
ফ্রেইক্সাওয়ের এমন বক্তব্যের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগজয়ী লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ বলেছেন, ‘মেসি এলে সিটিকে হারানো আরও কঠিন হয়ে যাবে।’
বার্সা ছাড়ার বিষয়ে ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ গোঁ ধরেছিলেন, ফ্রি-ট্রান্সফার নয়, বাই আউট ক্লজ ৭০০ মিলিয়ন ইউরো পেলেই তারা মেসিকে ছাড়বেন।
তবে বার্সার বোর্ডের কেউ কেউ কিন্তু প্রেসিডেন্টের মতের বিরোধী ছিলেন বলে দাবি করেছে স্পেনের নামী এক পত্রিকা।
তাদের বক্তব্য, আর্জেন্টিনীয় কিংবদন্তিকে বিক্রি করার জন্য অযৌক্তিক এবং কাণ্ডজ্ঞানহীন মূল্য ধার্য করাটা ঠিক নয়। এমনটি করলে মেসিকে ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের দিকেই ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
ফুটবল মহলের ধারণা ছিল, ৭০০ মিলিয়ন ইউরো ( বাংলাদেশি মূদ্রায় ৭০০০ কোটি টাকা) দিয়ে মেসিকে নিতে পারে একমাত্র ম্যান সিটিই। আর সেটাই সত্য হতে যাচ্ছে।
ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, বার্সেলোনা থেকে লিওনেল মেসিকে উড়িয়ে নিতে ৭০০ মিলিয়ন ইউরোতে চুক্তি বদ্ধ হয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি কর্তৃপক্ষ। তবে চুক্তি অনুসারে ম্যানচেস্টার সিটি ও নিউ ইয়র্ক এফসিতে ধারাবাহিকভাবে খেলবেন মেসি।