ব্যাংক ঋণের অপব্যবহার বন্ধে কড়া নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিছু গ্রাহক এক খাতে ঋণ নিয়ে অন্য খাতে ব্যবহার করছেন। আবার কেউ নতুন ঋণ নিয়ে বিদ্যমান অন্য ঋণের দায় পরিশোধ বা সমন্বয় করার প্রয়াস চালাচ্ছেন, যা ঋণ শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এ অনিয়ম বন্ধ করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, গ্রাহকের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণ বা বিনিয়োগ দ্বারা গ্রাহকের বিদ্যমান অন্য কোনো ঋণ বা বিনিয়োগের দায় পরিশোধ বা সমন্বয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে; যা ঋণ শৃঙ্খলার পরিপন্থী। ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ঋণের অর্থ দিয়ে কোনোভাবেই অপর কোনো ঋণের দায় পরিশোধ বা সমন্বয় করা যাবে না। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পরিবীক্ষণ করার জন্যও আপনাদের নির্দেশনা প্রদান করা হল। সর্বোপরি ঋণ ঝুঁকি নীতিমালা যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এর আগে ২০১৭ সালে বিআরপিডি থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়। তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি নীতিমালার নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রাহককে যে উদ্দেশ্যে ঋণ দেয়া হয়েছে বা হবে সে উদ্দেশ্যেই ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিয়মিত মনিটরিং করার পরামর্শ দেয়া হয়।
এছাড়া ২০১৮ সালে জারি করা অপর এক সার্কুলারের মাধ্যমে কিস্তিভিত্তিক প্রকল্প ঋণের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী কিস্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী কিস্তি ছাড় করা এবং কোনো ঋণের অর্থ মঞ্জুরিপত্রে বর্ণিত খাতের পরিবর্তে অন্য কোথাও ব্যবহৃত হলে ব্যাংককে তার কারণ উদঘাটনসহ তা রোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হল। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও নির্দেশনায় বলা হয়।
অর্থনীতি