আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৯ জনের প্রাণহানী

মত ও পথ প্রতিবেদক

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত
ফাইল ছবি

সড়কে মৃত্যুর মিছিল কোনোভাবেই থামছে না। প্রতিনিয়ত দেশের একাধিক জায়গায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। জীবিত থাকলেও অনেকে হয়ে যাচ্ছেন আজীবনের জন্য পঙ্গু।

দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, গত আগস্টে দেশে ৩০২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৭৯ জন নিহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে ৩৬৮ জন। দুর্ঘটনার ১২১টিই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা।

universel cardiac hospital

সড়কের যখন এমন বেহাল দশা তখন নৌ ও রেলে কাটা পড়ে চলছে মৃত্যুর মিছিল। একমাসে ১৩টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৪৭ জন এবং রেল দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। দেশের ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে বলে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

তবে সব থেকে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। স্বাভাবিক কারণে মারাও গেছে এখানে সব থেকে বেশি।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১১৩টি ঘটেছে জাতীয় মহাসড়কে এবং ৯৮টি আঞ্চলিক সড়কে ঘটেছে। সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটেছে সকালে (৩০ দশমিক ১৩ শতাংশ) ও দুপুরে (২২ দশমিক ১৮ শতাংশ)। দুর্ঘটনাগুলোর ৭৬টি মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৮৭টি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৮৩টি পথচারীকে চাপা বা ধাক্কা দেওয়ায় ঘটেছে।

বিভাগওয়ারী হিসেবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ৭৩টি দুর্ঘটনায় ৮৪ জন নিহত হয়েছে এবং সবচেয়ে কম বরিশালে ২২টি দুর্ঘটনায় ১৯ জনের প্রাণহানী হয়েছে। আগস্টে জেলা হিসেবে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহে, ১৬টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ জন।

সড়ক দুর্ঘটনার জন্য ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতাসহ ১০টি কারণ তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনতে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্টসহ ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনারোধে নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ এবং গণপরিবহন খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি বলছে ফাউন্ডেশেন। এক্ষেত্রে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে