আগামী বছরের (২০২১) মাঝামাঝির আগে করোনার ভ্যাকসিন পৃথিবীব্যাপী বিতরণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস। বলেছেন, যেসব ভ্যাকসিন ট্রায়ালে আছে সেগুলোর কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা এখনো কোনো স্পষ্ট সংকেত পাইনি। খবর রয়টার্সের।
জেনেভায় জাতিসংঘের একটি সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) হ্যারিস বলেন, ভাইরাসটির কার্যকারিতা পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে আমরা একটু সময় বেশি নিতে চাই। কারণ আমরা দেখতে চাই আসলেই টিকাটি কতটুকু কার্যকর ও নিরাপদ। তাই এই ধাপে আমরা বৃহৎ পরিসরে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করব।
এদিকে রাশিয়া ও আমেরিকা কয়েক মাসের মধ্যে নিজেদের দেশের তৈরি ভ্যাকসিন বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে। তবে সেগুলো নিরাপদ ও কার্যকার কি না তা নিয়ে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞ মহলে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
সংবাদ সম্মেলনে মার্গারেট বলেন, আমরা সত্যিই আগামী বছরের মাঝামাঝির আগে পৃথিবীব্যাপী করোনার টিকা বিতরণ করতে পারব না। কারণ প্রাথমিক ট্রায়ালে অনেক লোককে এই ভ্যাকসিন দেয়া হলেও আমরা এখনো জানি না ভ্যাকসিনটি কাজ করছে কি না।
ডব্লিউএইচওর নেতৃত্বে ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল এক্সেস’ (কোভেক্স) বিশ্বের প্রায় ১৭০টিরও বেশি দেশকে নিয়ে করোনার উন্নয়ন, তৈরি ও বণ্টনের কাজ শুরু করেছে। ডব্লিউএইচওকে দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দিয়ে বিশ্বব্যাপী করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে শামিল হয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
জানা গেছে, ২০২১ সালের শেষ নাগাদ কোভেক্স প্রাথমিকভাবে দুই মিলিয়ন ডোস উৎপাদন করবে। যুক্তরাষ্ট্র না থাকলেও দেশটির ঐতিহ্যবাহী মিত্র জাপান, জার্মানি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থাকছে এই পরিকল্পনায়। পরিকল্পনাটির মূল লক্ষ্যই হচ্ছে করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোতে কম মূল্যে এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়া।
মার্গারেট বলেন, আমরা চাই পৃথিবীর সবাই এই ভ্যাকসিন প্রকল্পের আওতায় আসুক।