নারায়ণগঞ্জের মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে । এছাড়া দগ্ধ আরও ২২ জন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যার মধ্যে ২০ জনের অবস্থা সংকাপন্ন। মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- কুদ্দুছ ব্যাপারী, সাব্বির, দেলওয়ার, জুয়েল, জামাল, জুবায়ের, হুমায়ুন কবির, মোস্তফা কামাল, ইব্রাহিম, রিফাত, জুনায়েদ, জয়নাল আবেদিন (৪০) ও মাইনুদ্দিন (১২)।
গতকাল শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জ তল্লার বায়তুল বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায় করার সময় হঠাৎ মসজিদের ছয়টি এসির বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে মসজিদের চারপাশে। এতে দগ্ধ হন মসজিদের ইমাম আবদুল মালেক ও মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেনসহ ৪০ জন। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট। প্রাথমিকভাবে এসি বিস্ফোরণে আগুন লাগার ধারণা করা হলেও, গ্যাসের লিকেজ থেকে এই দুর্ঘটনা হতে পারে বলে জানিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস।তারা জানিয়েছে, আগুন নেভানোর সময় জমে থাকা পানিতে বুদবুদ দেখা যায়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়।
গুরুতর দগ্ধদের পাঠানো হয় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। তাদের সবার অবস্থাই সংকটাপন্ন। প্রত্যেকের শরীরের ৭০ থেকে ৯০ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
এদিকে এসি বিস্ফোরণে যারা মারা গেছে তাদের দাফন কাফনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেয়ার কথা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসীমউদ্দীন। তিনি আরও বলেছেন, ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মহানগর